চাঁদপুরে রেলওয়ের টিকেট যাত্রী সাধারণ যাতে নির্বিঘেœ সংগ্রহ করতে পারে তা দেখার দায়িত্ব রেলওয়ে থানা পুলিশের। আর সেখানে রেল পুলিশরাই ঐসব টিকেট কালোবাজারিতে বিক্রি করছে। এদের দেখাদেখি প্রকৃত কালোবাজারীরা টিকেট বিক্রিতে থেমে নেই। গতকাল ২৫ ডিসেম্বর বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় শহরের বড়স্টেশন চাঁদপুর রেলওয়ে প্লাটফর্মে গিয়ে দেখা যায় চট্টগ্রাম থেকে পূর্বের দিন ছেড়ে আসা আন্তঃনগর মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেনটি তখনও চাঁদপুর এসে পৌঁছায়নি। কিন্তু শতাধিক যাত্রী মেঘনা ট্রেনের টিকেট সংগ্রহের জন্য লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষার প্রহর গুণছে।
আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম ইউনির্ভাসিটিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কারণে চাঁদপুর থেকে বহু ছাত্র-ছাত্রী চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। এসব ছাত্র-ছাত্রীরা সকাল থেকেই সেখানে টিকেট সংগ্রহের জন্য লাইনে দাঁড়ায়। টিকেট মাস্টার ছালামের সাথে হাত করে রেলওয়ে পুলিশ আন্তঃনগর মেঘনা ট্রেনের টিকেট সংগ্রহ করে কালোবাজারিতে যাত্রীদের কাছে অধিক দামে বিক্রি করছে। ঐ পুলিশ সদস্য লাইনে দাঁড়ানো যাত্রীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে নিজের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে কাউন্টার থেকে টিকেট সংগ্রহ করে বিক্রি করছিলো। এ সময় স্থানীয় পত্রিকার সাংবাদিক ছবি তুললে তিনি সাংবাদিকের সাথে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। বেশ কিছু সময় ঐ পুলিশ সদস্য সাংবাদিকের সাথে বাক্বিতণ্ডায় লিপ্ত হন। এ ব্যাপারে রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ সুভাষ কান্তি দাসের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে দীর্ঘ সময় মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়। লাইনে দাঁড়ানো ভুক্তভোগী আন্তঃনগর মেঘনা ট্রেনের যাত্রীরা জানায়, এ ধরনের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের কারণে আজ চাঁদপুরের রেলপথে আয়ের উৎস থেকে সরকার বঞ্চিত হচ্ছে। রেলওয়ের পুলিশ, নিরাপত্তা বাহিনী যাত্রীদের যানমালের নিরাপত্তা দেয়া কথা থাকলেও তারা নিজেরাই আজ অন্যায়মূলক কাজের সাথে জড়িয়ে পড়েছে। আইনের পোশাক পড়ে বেআইনিভাবে আন্তঃনগর মেঘনা ট্রেনের টিকেট কালোবাজারিতে বিক্রি করছে। এদের এ অত্যাচার থেকে ট্রেনে চলাচলকারী যাত্রী সাধারণ যাতে পরিত্রাণ পায় সে জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করে।
শিরোনাম:
রবিবার , ২৪ জানুয়ারি, ২০২১ খ্রিষ্টাব্দ , ১১ মাঘ, ১৪২৭ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।