স্টাফ রিপোর্টার:
চাঁদপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে শহরের ৯নং ওয়ার্ড মাঝি বাড়ী সংলগ্ন আশে পাশের কয়েকটি বাড়ী থেকে ৭টি চোরাই গরু উদ্ধার করা হয়েছে। ১৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই আহসানুজ্জামান লাবু ও সাইদুর রহমান সঙ্গিয় ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে গরুগুলো উদ্ধার করে। ডিবি পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গরুচোর সিন্ডিকেট চক্ররা পালিয়ে গেছে। সুত্র জানায়, এ সিন্ডিকেট গরু চোর চক্রের মুল হোতা হচ্ছে টেকনিক্যাল গ্যাস কোম্পানী সংলগ্ন তাজুল ইসলাম আখনের ছেলে কাঠমিস্ত্রি মনির। সে তার পালিত চোর চক্রের সহায়তায় উদ্ধার হওয়া ১৫টি গরু চরাঞ্চল থেকে চুরি করে আনে। এরমধ্যে ২টি গরু স্থানীয় মাঝি বাড়ী এলাকার করিম মিজির ছেলে দেলু মিজি ও হালিমের সহায়তায় মহারাজ নামের চা দোকানের কাছে ২টি গরু ৬০ হাজার টাকা বিক্রি করে। পরবর্তিতে মহারাজ ঐ গরু ২টি ১০ হাজার টাকা লাভে প্রফেসরপাড়ার এলাকার বাসিন্দা মেঘনা ওয়েল কোম্পানীর দারোয়ান শহিদ গাজীর কাছে বিক্রি করে ৭০ হাজার টাকা। এছাড়াও হাজীগঞ্জের দেলু নামের একজনের মাধ্যমে ১টি গরু স্থানীয় অসহায় ইদ্রিস নামের এক ব্যাক্তির কাছে অপর ১টি গরু আনু ছৈয়ালের কাছে মোট ৪০ হাজার টাকা বিক্রি করে। এছাড়াও সিন্ডিকেট চক্রের আরেক সদস্য সেলিমের কাছ থেকে তাজুল খন্দকার নামে স্থানীয় এক ব্যাক্তি একটি গরু ক্রয় করে। ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে ছৈয়াল বাড়ীর আনু ছৈয়াল, এবং আবুল ছৈয়াল থেকে আরো ১টি ও শফিক পালওয়ান ১টি চোরাই গরু উদ্ধার করে। আবুল ছৈয়াল ২টি গরু কিনে অপরটি ঢালী ঘাটে তার মেয়ের জামাই এর কাছে বিক্রি করে। এভাবে দীর্ঘ ৩ ঘন্টা অভিযান চালিয়ে মোট ৭টি গরু উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে স্থাণীয় কাউন্সিলর বিল্লাল হোসেন মাঝি জানান, এ ধরনের চোর চক্রের জন্য এলাকার বদনাম হচ্ছে। যারা এ কাজ করছে তাদের কঠোর শাস্তি হওয়া দরকার। জানাযায়, আন্তজেলা গরু চোর চক্রের একটি শক্তিশালি সিন্ডিকেট চক্র দীর্ঘদিন যাবত চাঁদপুর জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে গরু চুরি করে বিক্রি করে আসছিল। চুরি হওয়া গরুর সন্ধান পেয়ে ১১নং ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের আলু বাজার এলাকা থেকে খোরশেদ রাঢ়ী নামে এক লোক চাঁদপুর মাঝি বাড়ি এলাকায় এসে তার চুরি হওয়া একটি গরু শহিদ গাজী বাড়িতে এসে পায়। এ চক্ররা বিশেষ করে ১১নং ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের চর, রাজরাজেশ্বর, শরিয়তপুর, মেঘনার চরসহ আশেপাশের চরাঞ্চলে খেটে খাওয়া সাধারন মানুষের গরুগুলোর প্রতি অধিক টার্গেট করে চুরি করতো। তারা চরাঞ্চলের চোরাই গরু নিয়ে চাঁদপুর শহরের মাঝিবাড়ী সংলগ্ন নদী তীর দিয়ে নামিয়ে সিন্ডিকেট চক্রের মাধ্যমে আশে পাশের বিভিন্ন বাড়ীসহ জেলার নানা স্থানে বিক্রি করতো বলে জানাযায়। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই আহসানুজ্জামান লাবু জানান, এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। তিনি আরো জানান আমরা গোপন সংবাদেও ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করি। আশা করছি অচিরেই সিন্ডিকেট চক্রের হোতাদের আটক করতে পারবো।