প্রতিনিধি
আপত্তিকর প্রস্তাব মেনে না নেয়ায় কচুয়ায় তরুণীকে এসিড মেরে ঝলসে দিয়েছে এক পাষণ্ড। এসিড দগ্ধ তরুণীর নাম ফারিয়া আক্তার পান্না (১৯)। গত শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় উপজেলার কড়ইয়া ইউনিয়নের নলুয়া গ্রামের বড় বাড়িতে এসিড নিক্ষেপের এ ঘটনা ঘটে। পান্না স্থানীয় বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) সেবা বহুমুখী সমবায় সমিতির নলুয়া শাখার ক্যাশিয়ার হিসেবে কর্মরত।
থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, একই বাড়ির ইউসুফ আলীর ছেলে ২ সন্তানের জনক আবুল হোসেন (২৫) দীর্ঘ দিন যাবৎ আমিন মিয়ার মেয়ে ফারিয়া আক্তার পান্নাকে আপত্তিকর প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। পান্না তার প্রস্তাবে সাড়া না দিয়ে তা প্রকাশ করে দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ঘটনার দিন পান্না প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বেরুলে ওঁৎ পেতে থাকা আবুল হোসেন পান্নার চোখ-মুখ বেঁধে মাটিতে ফেলে পান্নার নিম্নাঙ্গে (গোপনাঙ্গ) এসিড ঢেলে ঝলসে দেয়। পান্নার ডাক-চিৎকারে বাড়ির লোকজন ছুটে আসলে আবুল হোসেন পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে কচুয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। কর্মরত ডাক্তার তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। বর্তমানে সে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ণ ইউনিটের ৩য় তলায় ৮নং বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনার পর থেকে পাষণ্ড আবুল হোসেন সপরিবারে পলাতক রয়েছে।
খবর পেয়ে কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আলমগীর হোসেন মজুমদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তিনি দোষী ব্যক্তিকে গ্রেফতারপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন। পান্নার বাবা আমিন মিয়া মুঠোফোনে এ প্রতিনিধিকে বলেন, পাষণ্ড আবুল হোসেন প্রায় তিন বছর পূর্বে আমার মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলো। আমরা তাতে রাজি হইনি। এরপর সে প্রায়ই আমার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করত। এ বিষয়ে আমি তার বাবা মায়ের নিকট বেশ ক�বার নালিস করেও এর প্রতিকার পাইনি।
এ ঘটনায় পান্নার পরিবারের পক্ষ থেকে কচুয়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।