আশিক বিন রহিম ঃ
চাঁদপরের মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীতে বন্ধ হচ্ছেনা চোরাচালান। নদীর কালোবাজারি চোরাকারবারিরা আবারো সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে জানাগেছে। এরা মেঘনা ও ডাকাতিয়ায় চলাচলরত বিভিন্ন নৌযান থেকে সার, গম, চিনি, সরিষা, জ্বালানি, ভোজ্য তেলসহ বিভিন্ন পণ্য পাচার করছে। আর এসব কাজে জড়িত জেলার চিহ্নিত বেশ ক’জন চোরাকারবারির। চিহ্নিত এসব চোরা কারবারিরা সম্পূর্ণ পর্দার আড়ালে থেকেই মোবাইল ফোনে যোগাযোগের মাধ্যমে এসব ব্যাবসা পরিচালিত করে থাকে। এদিকে মাঝে মধ্যে চাঁদপুর কেষ্টগার্ডের অভিজানে চেরাইকৃত এসব পণ্য আটক হলেও এসব ব্যাবসর সাথে জরিত মুল হোতাদের কখনোই আটক করতে পারেনি কোষ্টগার্ড বা নৌ-পুলিশ। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, কোড়ালিয়া চর এলাকা, যমুনা রোড, পাইলট হাউজ, বড় স্টেশন মোলহেড, কয়লা ঘাট, ৫নং ঘাট, কসাইখানা এলাকা গুলোই চোরাকারবারিদের নিরাপদ আস্তানা। এসব চোরাকারবারিদের শ্রমিকরা রাতের আধারে ইঞ্জিন চালিত নৌকা বা ট্রলার নিয়ে কোস্টগার্ডের টহলকে ফাঁকি দিয়ে নদীতে চলাচলরত কার্গো, কোস্টার ও ট্যাংকার থেকে চুক্তি অনুযায়ী এসব পণ্য নামিয়ে নদী থেকেই বিভিন্ন মোকামে চালান করে দেয়। কখনো কখনো আবার কিছু পরিমাণ জ্বালানি তেল পুরাণবাজার ও কয়লা ঘাটের বেস কিছু ব্যাবসায়ির কাছে বিক্রি করে থাকে। কোষ্টগার্ড সদস্যদের হত থেকে বাঁচতে এসকল কেরাকারবারিরা সোর্সের সহযোগিতা নিয়ে থাকে। তারা কাজ শুরুর আগেই এসব সোর্স সদ্যস্যদের শহরের নতুন বাজার পুরান বাজার ব্রিজেসহ বেশ কিছু স্থানে দার করিয়ে রাখে। এসব সোর্সের কাজ হলো কোস্টগাডের স্টেশন থেকে সদস্যরা ¯িপ্রট বোট নিয়ে টহলে নামে কিনা তাৎক্ষণিক মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সে খবর চোরাকারবারিদের কানে দেয়া। নদীর পাড়ের চিহ্নিত এলাকায় গুলোয় এসব কালোবাজারিদের আনাগোনা সবসময় দেখা যায়। তারা সুযোগ বুঝে জাহাজ থেকে পণ্য পাচার করছে। এসব চোরা চালান বন্ধে কোস্টগার্ডের অভিযান লক্ষ করা গেলেও চাঁদপুর নৌ পুলিশের তেমন কোন কর্মতপ্তরতা লক্ষ করা যাচ্ছেনা। আর কোষ্টগার্ডের অভিজানে চেরাইকৃত এসব কিছু পণ্য আটক হলেও চেরাকারবারিরা আটক না হওয়ায় বন্ধ হচ্ছেনা এসব চোরা চালান।