বহুদিন পর গায়ে যাওয়া পরম আনন্দ পেলাম। আপন মনে খালি পায়ে গায়ের মাটি পাড়ালাম ।কি পরম শান্তি , প্রকাশের ভাষা জানা নেই। গায়ের মানুষ সহজ-সরল তাই কারও বাড়ি প্রবেশ করলে প্রথমেই অতিথি আপ্যায়ন বিশেষ করে গাছের ফল-ফলাদি দিয়ে। আর বাড়ির বয়স্ক লোকদের সাথে দেখা হলেতো কথা নেই নি:শ্বাস না ছেড়ে একদমে যা মুখে আসে প্রশ্ন করে।
সকাল –দুপুর গড়িয়ে যখন বিকেল আসে তখন যেন গ্রামের আনন্দ আরও একধাপ বেড়ে যায়। বিভিন্ন জায়গায় খেলার মাঠে আয়োজন করা হয় নানা খেলার । ঐতিহ্যবাহী গ্রাম-বাংলার এমনি একটি প্রতিযোগিতার নাম হা-ডু-ডু ।উক্ত খেলায় অংশগ্রহন করেন বিবাহিত বনাম অবিবাহিত ।
এবার চাঁদনী রাতে নদী দেখা। নদী নিরব আমরা সবাই জানি । শত ব্যথা বেদনা বুকে নিয়েও করে না প্রকাশ কারও সাথে। নিরব নদী আরও নিরব রাতের বেলা ।আপন গতিতে বয়ে যায় মালবাহী নৌকা।নদীর পাড়ে প্রচন্ড নির্ভেজাল বাতাস গায়ে লাগার সাথে সাথে দেহ শীতল। এত আনন্দ এত সুখ আপন করে ছিন্ন প্রবাস জীবন আমার।
শত বাধাঁ বিঘ্ন পেরিয়ে আসা শহর জীবনে । থাকি ব্যাচালর বাসায়, চাবি অন্যের কাছে অপেক্ষার প্রহর শুরু । চাবি পেলাম শুনি কাজের বুয়া আসেনি মেজাজ গরম, গরম মেজাজ ঠান্ডা করতে কল চাপি পানি নেই কলে।বাসা ছেড়ে রাস্তায় আসি ক্ষুধা নিবারনে দেখি হোটেল বন্ধ। জবাব চাইলে বলে ঈদ ছুঁটিতে হোটেল কর্মী বাড়িতে ।রাত কাটালাম রং চায়ের সাথে পাউরুটি খেয়ে।
সকালবেলা আবার শুরু কর্মজীবন অপেক্ষা ৭ নম্বার বাসের গাবতলী টু সদরঘাট । সিট আছে খালি নেই দাঁড়িয়ে যাওয়া । তার উপর আবার অতিরিক্ত যাএীর টেলা-টেলী এসব নিত্যদিনের মামুলি ব্যাপার। আসল ঘটনার শুরু অফিসে
প্রথমেই প্রবেশ পথে বসের আরাধনা। তারপর দ্বিতীয় সারির বসদের তপস্যা। শত ব্যথা বুকে চেপেও নিয়মতান্ত্রিক কৌশল বিনিময়।
লেখক
এম.এইচ.মাহিন