আমি তারিখটি ঠিক এই মুহূর্তে মনে করতে পারছি না। তবে এটা ছিল ১৯৭১ সালের একটি সকাল। হয়তো ১৯৭১ সালের ২৮ শে মার্চ অথবা ২৯ শে মার্চের রৌদ্রোজ্জ্বল একটি সকাল। জানালার ফাঁক দিয়ে সূর্যের আলো আমার চোখে মুখে এসে পড়ছিল। তবুও বিছানা থেকে উঠতে ইচ্ছে করছিল না। যদিও প্রতিদিন আমি আর আমার এক বছরের ছোট একমাত্র ভাই মাসুম পাখি ডাকা ভোরে বিছানা থেকে উঠে পড়ি। দরজা খুলে গেইট পেরিয়ে ছুটে চলে আসি বাইরে বাসার সামনের সদর রাস্তায়। যেখানে খেলার সাথীরা একসাথে সব জড়ো হই প্রতিদিন। আধো আলো আধো অন্ধকারেই রাস্তা থেকে নেমে ‘টাউন মাঠ’-এর মেঠোপথ ধরে এগিয়ে যাই মাঠ, সড়কের ওপারে মধুমাতি নদীর তীরে। নদীর পাড় ঘেসে ঘেসে হাত ধরাধরি করে ঘুরে বেড়াই সবাই মিলে বেলা না বাড়া পর্যন্ত। অথবা শরৎকালে প্রতিদিন খুব ভোরে উঠে আমি আর আমার ভাই আমাদের বাগানের শিউলি তলায় চলে যাই ফুল কুড়াতে। ভেজা ঘাসগুলি পা দিয়ে মাড়িয়ে মাড়িয়ে ঘুরে ঘুরে ফুল কুড়িয়ে ডলিতে তুলি। সাদা, কমলা রঙের ফুলে ফুলে ডালি ভরে যায়। ফুল বোঝাই ডালি নিয়ে আমি আর মাসুম পাল্লা দিয়ে ছুটে যাই আব্বুর রুমের দিকে কে আগে আব্বুকে ফুল দিয়ে খুশি করবে।
হঠাৎ করে কেনো সব এল মেলো হয়ে গেল। খেলার সাথীরা সব শহর ছেড়ে গ্রামে অথবা অচেনা অন্য কোথাও পালিয়ে গেছে তাদের বাবা, মা, পারবারের সবার সাথে। মাসুম ও স্বাভাবিক আচরণ করছে না। সারাক্ষণ ঘরের ভিতর মায়ের আঁচলের তলে নিজেকে লুকিয়ে রাখছে। এক ধরনের ভয়, আতঙ্ক তাকে আচ্ছন্ন করে রেখেছে। আমরা শুনেছি, ২৫ শে মার্চ মধ্যরাতে ঢাকা শহরে বাড়িতে বাড়িতে এবং ঢাকা ইউনিভার্সিটির হলের রুমে রুমে ঢুকে অনেক অনেক নিরীহ, সাধারণ মানুষ এবং ছাত্রদের পাকিস্তান আর্মিরা বিনা কারণে গুলি করে মেরে ফেলেছে।
আমি বুঝে উঠতে পারছিলাম না অথবা হয়তো বোঝার ক্ষমতা ছিল না যে দেশে কি হতে যাচ্ছে। কত ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে যাচ্ছি সবাই। বিছানায় শুয়ে এসব এলোমেলো চিন্তার মাঝে হঠাৎ করে বুকের মধ্যে ব্যাথা অনুভব করি, সমস্ত অন্তর দুমড়ে-মুচড়ে গলার কাছে ঠেলে উঠে আসা সেই ব্যাথা। আব্বু কি বাসায় ফিরেছেন? কয়েকদিন হলো বড় মামাকে দেখতে খুলনা গিয়েছিলেন তিনি। মামা খুলনা মিউনিসিপ্যালিটির চেয়ারম্যান, উনি হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। মামার কণ্ঠনালীতে ক্যান্সার ধরা পড়েছে। সারাদেশে গোলমাল। গাড়ি, লঞ্চ, নৌকা কিছুই চলছে না। এরমধ্য আব্বু কীভাবে ফিরবেন? ওরা কি আব্বুকে ও মেরে ফেলবে?
আমি নিঃশব্দে খাট থেকে নেমে এলাম। আমার বড় দুই বোনের মাঝখানে আমি ঘুমিয়ে ছিলাম যাঁদের আমি ”আপুমনি” আর ”বুবুমনি” বলে ডাকি। আমি যখন বিছানা থেকে নেমে পড়ি তখন দুজনেই ঘুমে আছে। আমার সমস্ত প্রেরণা, জীবনীশক্তি, আশ্রয়, প্রশ্রয় সবকিছু আপুমনি আর বুবুমনি। বিশেষ করে আপুমনির আদর, স্নেহ, ভালোবাসার গভীরতা বোনের চেয়ে মায়ের কাছাকাছি বেশি। তাঁদের প্রশ্রয়ে আমি আমার বয়সের চেয়ে আগে দৌড়াঁতে শিখেছি। আমার যত জিজ্ঞাসা সবকিছুর উত্তর আমি পেয়ে যাই আপুমনির কাছে। পরম মমতা আর ধৈর্যের সাথে তাঁর সাধ্য মতো আমার সব জিজ্ঞাস্য আর সব সমস্যার সমাধান করে দেন।
আব্বুর জন্যে আতঙ্ক , দুশ্চিন্তা নিয়ে মায়ের সাথে গভীর রাত পর্যন্ত জেগে ছিলেন দুইজন। আমি জানি না তাঁরা কখন ঘুমাতে এসেছেন। তাঁদের যাতে ঘুম ভেঙে না যায় এজন্য খুব ধীর পায়ে আস্তে আস্তে দরজা খুলে সিঁড়ি দিয়ে খোলা উঠানে নেমে আসি। আমাদের প্রতিটি ঘরের সিঁড়ির দুইপাশে ইট-সিমেন্ট দিয়ে সুদৃশ্য বসার আসন তৈরি করা। বিকালে আমরা সব ভাই বোন, খেলার সাথীরা মিলে এখানে বসে গল্প করি, ফল খাওয়া উৎসব করি। প্রতিদিন ভোরে আনেক রকম পাখি, প্রজাপতি, মৌমাছিরা সব দল বেঁধে আমাদের উঠানে আর বাগান জুড়ে উড়ে উড়ে ঘুড়ে বেড়ায়। উঠানে দাঁড়িয়ে চারিদিকে ঘেরা ফুল বাগানের দিকে তাকাই। চোখ বন্ধ করে জোরে শ্বাস টেনে সমস্ত ফুলের গন্ধ একবারে বুকের মধ্যে টেনে নেই। কয়েকটি চড়ুই পাখি থপথপ করে লেজ নেড়ে নেড়ে আমার দিকে এগিয়ে আসছে। আমার মনে হলো এদের খিদে পেয়েছে। সমস্ত শহর ফাঁকা হয়ে গিয়েছে। সবখানে হয়তো খাবার খুঁজে পাচ্ছেনা। আমি ছুটে গেলাম বারান্দার দিকে যেখানে এক কোণে কৌটা ভর্তি করে একসাথে মিশিয়ে রেখে দেয়া আছে চালের কণা, খুঁদ, শরিষা দানা আর গমের কণা, এগুলো রাখা আছে পাখিদের জন্যে। আমি অবাক হয়ে দেখলাম চড়ুইগুলি আমার সাথে সাথে বারান্দা পর্যন্ত উঠে এসেছে। আমি মুঠি ভর্তি করে করে খাবারগুলি ছিটিয়ে দিলাম সারা উঠানে। লেজ নেড়ে নেড়ে, নেচে নেচে, ঘুরে ঘুরে, উড়ে উড়ে ওরা মনের আনন্দে ছোট ছোট ঠোঁট দিয়ে খাবার গুলো খুঁটে খুঁটে খাচ্ছে। মন ভালো করা সে দৃশ্য।
অসম্ভব সুন্দর আমাদের উঠানটি, যার চারিদিকে ফুলের বাগান ঘেরা। ঘাসে ঢাকা সমস্ত বাগানগুলিতে ছক কেটে কেটে অনেক রকম ফুলের গাছ লাগানো। আমাদের বড় কাঞ্চন ফুল গাছটা বেগুনি রঙের ফুলে ফুলে ছেয়ে আছে, ভীষণ ভালো লাগছে দেখতে, এর সাথে সাথে আছে গন্ধরাজ, শিউলি, জবা, কামিনী, টগর, রজনীগন্ধা, নয়নতারা আর আছে ডালিয়া, জিনিয়া, কসমস, গাঁদা ফুলের সমাহার। সারা উঠান দিন-রাত ফুলের মউ মউ গন্ধে ভরে থাকে। সমস্ত বাগানের কিনারা ঘিরে ঘাঁসফুলের গাছ দিয়ে সাজানো বর্ডার দেওয়া যেখানে লাইন দিয়ে অসংখ্য ছোট ছোট গোলাপি ঘাঁসফুল ফুটে থাকে।
আমাদের বাসা গোপালগঞ্জ মহকুমা শহরের ঠিক মাঝখানে, যার ঠিক সামনে বিশাল টাউন মাঠ। মাঠের অপর পারে মহাকুমা প্রশাসকের অফিস, কোর্ট এবং বাসভবন, মুন্সেফ আফিস, কোর্ট এবং বাসভবন আর এস.ডি,পিও অফিস (সাব ডিভিশনাল পুলিশ আফিসার)। আমাদের বাসার দক্ষিণ দিকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর বাসভবন। উত্তর দিকে বিখ্যাত সদর জাম-এ-মাসজিদ। আম, নারিকেল, সুপারি, পেয়ারা, কুলগাছে ঘেরা কাঠের তৈরি চৌচালা বড় বাংলোবাড়ি আমাদের। দক্ষিণ দিক খোলা রেখে পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর ঘিরে বাংলোগুলি সাজানো। চারিদিকে শান্তির ছায়া। আব্বু মাঝে মাঝেই বলেন, “আমার সংসার আর আমার সন্তনেরা আমার বেহেস্ত।”
আবার আমার বুকের মধ্যে কষ্ট হতে থাকে। মনে হচ্ছে আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে। আব্বু কোথায় আছেন? কেমন আছেন? কীভাবে ফিরবেন? কেউ কিছু বলতে পারছে না। হঠাৎ করে মনে হলো মায়ের রুম থেকে ফিসফিস করে কথা বলার শব্দ ভেসে আসছে। আমি অবাক হয়ে ভাবছি, মা এভাবে আস্তে আস্তে কেন কথা বলছে? কার সাথে কথা বলছেন মা? তাহলে কি আব্বু ফিরে এসেছেন? হ্যাঁ, আব্বুই কথা বলছেন মা’র সাথে। আব্বু ফিরে এসেছেন আমি নিশ্চিত হয়ে ছুটে যাই মায়ের রুমের বন্ধ দরজার কাছে। কেন মা আর আব্বু ফিসফিস করে এভাবে কথা বলছে? ততক্ষণে দুই চোখের পানি গড়িয়ে আমার দু’গাল ভিজে গেছে, আমি ফুঁপিয়ে, ফুঁপিয়ে কাঁন্না ভেজা গলাতে আব্বুকে ডাকতে থাকি। বারবার আব্বু, আব্বু ডেকে আমি প্রায় ৭ দিন না ডাকার কষ্ট পুষিয়ে নিচ্ছিলাম।
যতক্ষণ আব্বু বাসায় থাকেন আমি সারাক্ষণ তাঁর পাশে পাশে থাকি, যা কিছু দেখি, যা কিছু শুনি, যা কিছু বুঝি না সব আমি তাঁকে বলি, তাঁর কাছ থেকে বুঝে নিই।
আমার শব্দ পেয়ে আব্বু দরজা খুলে বাইরে বের হয়ে এসে আমাকে জড়িয়ে বুকে তুলে ধরেন, আমার কান্না থামাতে চেষ্টা করেন। তিনি বারবার সান্তনা দেন এই বলে যে, “আমি ফিরে এসেছি। কোনো কষ্ট হয়নি আমার। আমি ভালো আছি।” আমি তাঁর বুক থেকে মাথা তুলে মুখের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম, “আব্বু দেশে কি যুদ্ধ হচ্ছে? সবার মতো কি আমাদেরও মেরে ফেলবে? আমাদেরও কি বাসা ছেড়ে পালিয়ে যেতে হবে? ” ততক্ষণে সবাই তাঁর পাশে জড়ো হয়ে উৎকণ্ঠা নিয়ে, উদ্বিগ্ন হয়ে তাকিয়ে আছে তাঁর দিকে। উনি সবাইকে আভয় দিয়ে শুধু বললেন, “আমি ফিরে এসেছি, কোনো ভয় নেই, কাউকে কিছু চিন্তা করতে হবে না।”
সেদিন খুশি মনে মা সবার জন্য একসাথে বিশেষ নাস্তার আয়োজন করলেন। নাস্তা করতে করতে আব্বু তাঁর খুলনা থেকে বাসায় ফেরার ভয়ংকর অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিচ্ছিলেন। কীভাবে আমার ছোট মামা আর উনি খুলনা শহর থেকে লুকিয়ে লুকিয়ে পায়ে হেঁটে গ্রামে এসে পড়েছেন। কোনো যানবাহন নেই। অচেনা গ্রামের মেঠোপথ দিয়ে প্রায় দু’দিন ধরে কখনো পায়ে হেঁটে কখনো মাছ ধরা দেশি নৌকা করে নদী পার হয়ে কীভাবে কালো গভীর রাতে গোপালগঞ্জ শহরে এসে পৌঁছেছেন। এই দু’দিন তাঁরা শুধু শুঁকনা খাবার আর পানি খেয়ে ছিলেন। তিনি তাঁর অনুমান থেকে বলছিলেন, যেকোনো সময় পাকিস্তান আর্মি শহরে ঢুকে পড়ে শহরের দখল নিয়ে নিতে পারে। গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মস্থান, এখানে পাকিস্থান আর্মিরা কতটা নির্মম আচরণ করতে পারেন এটা নিয়েও কথা বলছিলেন। সবাইকে নিয়ে বাসা ছেড়ে গ্রামে চলে যাবার সময় পাবেন কিনা সেটাও চিন্তা করছিলেন।
আমি বারবার মা, আব্বু, আপুমনি, বুবুমনি যাকে যখন সামনে পাচ্ছি সারাক্ষণ একই কথা জিজ্ঞাসা করে যাচ্ছি “কেনো যুদ্ধ হচ্ছে? কেনো মানুষ মেরে ফেলা হচ্ছে?”
এক সন্ধ্যায় আপুমনি আমাকে রুমের মধ্যে টেনে নিলেন, এরপর দরজা বন্ধ করে তাঁর স্যুটকেস থেকে ভাঁজ করা একটুকরা গাঢ় সবুজ রঙের কাপড় টেনে বের করলেন। তিনি এটা আমার সামনে ভাঁজ খুলে মেলে ধরলেন। এটা কোনো কাপড়ের টুকরা ছিল না। এটা ছিল একটি সুদৃশ্য পতাকা। একটি গাঢ় সবুজ রঙের পতাকা, যার ঠিক মাঝখানে টকটকে লাল বৃত্ত, বৃত্তের ওপর ঠিক মাঝখানে একটি হলুদ রঙের মানচিত্র। আপুমনি ম্যাপটি দেখিয়ে গভীর আবেগ, অনুভূতি নিয়ে যুদ্ধ কেনো হচ্ছে তা বর্ণনা করছিলেন। উনি আমাকে পতাকাটি দেখিয়ে বোঝাচ্ছিলেন, ”পতাকার এই গাঢ় সবুজ রং হচ্ছে আমাদের সবুজ বাংলার প্রতীক। লাল বৃত্তটি ভোরের সূর্যের প্রতীক। আর এই হলুদ রঙের মানচিত্রটি হচ্ছে এই বিশ্বের বুকে আমাদের নিজস্ব মানচিত্র। আপুমনি আরো বর্ণানা দিচ্ছিলেন, “যদি আমরা যুদ্ধে জিততে পারি তাহলে আমরা বিজয় পাবো, স্বাধীনতা পাবো। নতুন একটি স্বাধীন ভূমি পাবো। আমরা আমাদের জন্য একটি নতুন স্বাধীন দেশ পাবো।
তিনি আবেগে বলছিলেন, “আমরা পশ্চিম পাকিস্তানের শাসন থেকে মুক্ত স্বাধীন একটি দেশে বাস করবো। আমাদের সেই নতুন স্বাধীন দেশের নতুন নাম হবে বাংলাতে। আমাদের সেই স্বাধীন দেশে উড়বে নতুন এই পতাকা। তিনি বলছিলেন, “আমাদের তখন আর উর্দুতে জাতীয় সংগীত গাইতে হবে না, প্রতিদিন আমাদের আর গাইতে হবে না ‘পাকসার জামিন সাদবাদ’ যার অর্থ আমরা বুঝি না। তিনি পরম উৎসাহে আরো বলছিলেন, “যদি আমরা স্বাধীনতা পাই আমরা বাংলাতে গান গাইবো। বাংলা গান হবে আমাদের জাতীয় সংগীত। যে গান আমরা বুঝি, যে গান আমরা গাইতে পারি। আমরা সেই গান গাইবো যে গানে আমাদের মন ভরে যাবে, প্রাণ জুড়িয়ে যাবে।”
আপুমনি আর কী কী বলছিলেন আমার কিছু মনে নেই। শুধু মনে আছে এক ধরনের প্রশান্তি ও নির্মল আনন্দধারা আমাকে আবিষ্ট করে ফেলেছিল। আমি স্বপ্ন দেখছিলাম অনাগত সেই সুদিনের যেদিন আমাদের আর গাইতে হবে না পাকসার জমিন সাদবাদ, যা আমি বুঝি না, যা আমি কখনো উচ্চারণ করতে পারি না।
সাবিহা ইয়াসমিন ইসলাম,
অ্যাডভোকেট, সুপ্রিম কোর্ট, বাংলাদেশ।
শিরোনাম:
রবিবার , ৩ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ , ১৯ কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।