মতলব প্রতিনিধি
মতলব উত্তর উপজেলার একমাত্র ইংরেজি মাধ্যম স্কুল দি কার্টার একাডেমীর মেধাবী ছাত্র নাঈমকে বেদম পেটানোর ঘটনা পুলিশের তদন্তের পর সত্য ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছেন জড়িত অধ্যক্ষ কাজী শহিদুল ইসলামসহ দু প্রশাসনিক কর্মকর্তা। প্রথমে নাঈমের অভিভাবকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে, পরে নাঈমকে ভাইভা পরীক্ষার নামে শিক্ষকদের নির্দোষ প্রমাণ করা ও পরে আমেরিকা নেয়ার প্রলোভন দেখান। এ বিষয়ে ভিকটিম দি কার্টার একাডেমীর দশম শ্রেণীর প্রথম স্থান অধিকারী ছাত্র নাঈম হোসেন বলেন, গত ২৯ নভেম্বর শনিবার সন্ধ্যায় অধ্যক্ষ কাজী শহিদুল ইসলাম, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক ও সহকারী মোহাম্মদ মাসুদ মিলে বিনা দোষে আমাকে রুমের দরজা, লাইট বন্ধ করে, হাত বুকের নিচে চেপে রেখে বেদম পিটিয়েছে। এই ঘটনা পত্রিকায় প্রকাশ হলে এ খবর পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। পরে গত ৬ ডিসেম্বর শনিবার দুপুরে মতলব উত্তর থানার এসআই আবু হানিফ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তদন্ত শেষে তিনি সাংবাদিকদের জানান, তদন্ত করে ঘটনার সঠিক তথ্য উদ্ঘাটন করা হচ্ছে। ভিকটিম ও এলাকাবাসী ঘটনা সত্য বললেও অভিযুক্ত অধ্যক্ষ কাজী শহিদুল ইসলাম ও দুই কর্মকর্তা ঘটনা অস্বীকার করেন এবং ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য অধ্যক্ষ বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করার চেষ্টা করছেন।
নাঈম জানান, পুলিশ তদন্ত করার পর অধ্যক্ষসহ দু কর্মকর্তা আমাকে ১০ মিনিটের ভাইভা পরীক্ষার কথা বলেন। আমি এতে রাজি না হয়ে একদিনের সময় চাই। আমাকে এসএসসি পরীক্ষার পর আমেরিকা নিয়ে যাবার প্রলোভন দেখিয়েছেন। একদিন পর গত রোববার দুপুরে আমার ভাইভা পরীক্ষাতে অধ্যক্ষসহ দু কর্মকর্তা লিখতে বলেছেন, আমার শিক্ষককরা আমাকে কোনো ধরনের মারধর করেনি। আমি তাতে কোনো লিখিত দেই নি। এ সময় আমার পিতা উপস্থিত হলে আমার পিতাকে এ ঘটনা কাউকে না বলার জন্য বলেন এবং অধ্যক্ষসহ কর্মকর্তারা আবারও ভুল স্বীকার করেন ও ক্ষমা চান। এ বিষয়ে দি কার্টার একাডেমীর অধ্যক্ষ কাজী শহিদুল ইসলাম বলেন, নাঈমের ভাইভা পরীক্ষার কোনো কথা বলা হয়নি, আর আমেরিকা নেওয়ার কোনো কথা আমি বলিনি ।