শাহাদাত হোসেন, মালয়েশিয়া থেকে
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর প্রথম জানাজা মালয়েশিয়ায় সম্পন্ন হয়েছে। মালয়েশিয়ার জাতীয় মসজিদ নিগারায় বাদ জোহর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় বিপুল সংখ্যক মালয়েশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশ নেন। জানাজার পর কোকোর মরদেহ ইউনিভার্সিটি মালায়া মেডিকেল সেন্টারের হিমঘরে রাখা হয়েছে।
এদিকে ছোট ভাই আরাফাত রহমান কোকোর জানাযায় বড় ভাই তারেক রহমানের উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত ভিসা জটিলতার কারণে মালয়েশিয়া আসতে পারেননি তিনি। মালয়েশিয়া বিএনপির একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানায়, সোমবার যে কোন সময় বাংলাদেশে আসতে পারে আরাফাত রহমান কোকোর মরদেহ।
আরাফাত রহমান কোকোর জানাযায়, মালয়েশিয়া বিএনপির নেতাকর্মীসহ ঢাকা থেকে আগত খালেদা জিয়ার ভাই শামীম এস্কান্দর, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মোসদ্দেক আলী ফালু, সাবেক মন্ত্রী আলী আসগর লবিসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। রোববার মালয়েশিয়ায় সাপ্তাহিক সরকারি ছুটি থাকায় আরাফাত রহমান কোকোর জানাযায় মালয়েশিয়া বসবাসরত বাঙালিদের ঢল নামে।
আরাফাত রহমান কোকোর মেয়ে জাহিয়া রহমান ও জাফিয়া রহমান বাবার জানাযার সময় কান্নায় ভেঙ্গে পড়লে এসময় দুই মেয়েকে বুকে জড়িয়ে সান্ত¡না দেন বিএনপি চেয়ারপারসনে উপদেষ্টা মোসাদ্দেক আলী ফালু।
গত শনিবার বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কোকো মারা যান। তাঁর বয়স হয়েছিল ৪৪ বছর।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, আরাফাত রহমান শনিবার সকালে বুকে ব্যথা অনুভব করলে দ্রæত তাকে অ্যাম্বুলেন্সে মালয়েশিয়া ন্যাশনাল হাসপাতালে নেওয়ার পথেই তিনি মারা যান। বাংলাদেশ সময় বেলা পৌনে দুইটার দিকে মালয়েশিয়া থেকে ঢাকায় পরিবারের সদস্যদের তাঁর মৃত্যুর খবর জানানো হয়। আড়াইটার দিকে এই দুঃসংবাদ নিয়ে গুলশানে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে যান তাঁর ভাই সাইদ এস্কান্দারের স্ত্রী নাসরিন সাইদ ও শামীম এস্কান্দারের স্ত্রী কানিজ ফাতেমা।
শিরোনাম:
মঙ্গলবার , ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ , ২ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।