প্রতিনিধি
ফোকাল গ্রুফ ডিসকাশন, আলু উৎপাদন পেশায় নিয়োজিত কৃষক ও কৃষি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে এ মৌসুমে চাঁদপুরে প্রতি কেজি আলু উৎপাদন করতে খরচ পড়বে ১০ টাকার উপরে। কৃষক পরিবারের নারী সদস্যদের মজুরী মূল্যায়ন করতে গেলে প্রতি কেজি আলুর উৎপাদন খরচ বেড়ে হবে ১৫ টাকার মত। চাঁদপুরের রোপনকৃত আলু ফসল বাজারে উঠার সময় বাজারে প্রতি কেজি আলুর মূল্য ৩/৪ টাকা হবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশিষ্টজনরা। এমতাবস্থায় তৃণমূল ও প্রান্তিক চাষীদের স্বার্থ রক্ষা ন্যায্যমূল্য বা লাভজনত মূল্য আশা করা অবান্তর।
উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি আর লাভজনক মূল্য না পাওয়ায় কৃষক উৎপাদন করে বার বার ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে, একই সাথে জলবায়ূ পরিবর্তনজণিত প্রভাব বৈশ্বিক কৃষি পণ্য বিশেষ করে খাদ্য শস্য উৎপাদনে বাধার সৃষ্টি করছে। যা বাংলাদেশকে যে কোনো সময় স্থায়ী খাদ্য সঙ্কটের মুখে ঠেঁলে দিতে পারে। খাদ্য নিরাপত্তা বিধান নিশ্চিত এবং আমদানি নির্ভরতা কমাতে এই মুহূর্তে উৎপাদনবান্ধব কৃষি ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠায় কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ আজ সময়ের দাবিÑ কৃষিজাত পণ্যের মূল্য নির্ধারণে একটি স্থায়ী ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা এবং কৃষকের জন্য উৎপাদিত পণ্যের লাভজনক মূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত ও বিপনন ব্যবস্থায় রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে উৎপাদক ও ভোক্তা স্বার্থ সংরক্ষিত জরুরি হয়ে পড়েছে।
গতকাল মতলব দক্ষিণ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আরসিডিএস ও জনমূল্য কমিশন চাঁদপুর কর্তৃক আয়োজিত আলুর মূল্য নির্ধারনে মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
আরসিডিএস নির্বাহী পরিচালক সাদেক সফিউল্লাহর পরিচালনায় জনমূল্য কমিশন মতলবের সহ-সভাপতি বাবু শঙ্কর রাও নাগের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনমূল্য কমিশন, চাঁদপুরের সভাপতি ও মতলব দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ শুক্কুর পাটওয়ারী। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু আদনান, জেলা কৃষকলীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা হাজী মোঃ জয়নাল আবেদীন প্রধান, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা স্বপন চন্দ্র বর্মন।
প্রধান অতিথি এমএ শুক্কুর পাটওয়ারী বলেন, উৎপাদক ও ভোক্তা স্বার্থের যথাযথ সংরক্ষণে ‘কৃষি পণ্যের মূল্য কমিশন’ গঠনই এখন একমাত্র বিকল্প। তিনি বলেন, সমন্বিত প্রচেষ্টায় কৃষি পণ্যের মূল্য নির্ধারণ ও বাস্তবায়নে সরকারি ও বেসরকারিসহ ভোক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে। বিশেষ অতিথি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু আদনান বলেন, কৃষকদেরকে যুগপযোগী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ও উৎপাদন ব্যায় কমাতে হবে। আমাদেরকে সমন্বিত কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে এবং স্থানীয়ভাবে কৃষিপন্য সংরক্ষণ ও বাজারজাতে উৎপাদকদেরকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। বিশেষ অতিথি জয়নাল আবেদীন বলেন, কৃষকের ন্যায্য অধিকার ও লাভজনক মূল্য নিাশ্চিত করতে নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে ভূমিকা রাখতে হবে এবং এ সংক্রান্ত দীর্ঘ মেয়াদী কর্মসূচি হাতে নিয়ে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
সভায় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আঃ লতিফ পাঠান মতলব দক্ষিণ উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ইকবাল হোসেন, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহীদ উল্যাহ প্রধান, মহিলাদলের নেত্রী শান্তা ইসলাম পপি, জনমূল্য কমিশনের সহ-সভাপতি রঞ্জিত চন্দ্র রায় ও পৌর কমিশনার রেহেনার আক্তারসহ অন্যান্যরা বক্তব্য প্রদান করেন।
শিরোনাম:
রবিবার , ৩ ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ , ১৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।