স্টাফ রিপোর্টার:
চাঁদপুর কোস্টগার্ড স্টেশন টহল সদস্যদের অভিযানে এবং জেলা প্রশাসনের ভাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় গতকাল আলুর কোল্ড স্টোরেজে মিষ্টি রাখায় ১৭০ মণ মিষ্টি ধ্বংস ও ১০ মিষ্টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ১০ হাজার টাকা করে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
চাঁদপুর শহরে বাণিজ্যিক এলাকার পুরাণবাজার কয়লা ঘাটস্থ পূবালী আইস এন্ড কোল্ড স্টোরেজে এ ঘটনা ঘটে। আনুমানিক সাড়ে দশ লাখ টাকার মিষ্টি ধ্বংস করা হয়।
কোস্টগার্ড স্টেশন কমান্ডার সাঃ লেফঃ এম আতাহার আলী (এসডি) (কম), বিএন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই কোল্ড স্টোরেজে বিপুল পরিমাণ জাটকা সংরক্ষণ রয়েছে মর্মে কোস্টগার্ডের অপারেশন দল সেখানে অভিযান চালায়। কিন্তু সেখানে জাটকা না থাকলেও প্রায় ১২০টি প্লাস্টিক ড্রাম ভর্তি মিষ্টি সংরক্ষণ অবস্থায় পাওয়া যায় এবং সেগুলো জেলা প্রশাসককে অবহিত করা হয়। জেলা প্রশাসকের নির্দেশক্রমে মিষ্টিগুলো জব্দ করা হয়।
পেয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সঞ্জয় মোহন্ত ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চাঁদপুরের সহকারী পরিচালক দেবাশীষ রায় বিকেল ৫টায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। কোস্টগার্ডের সহযোগিতায় সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসানো হয়।
ভোক্তা অধিকার আইন ২০০৯ এর ৪৩ ধারায় কোল্ড স্টেরেজে যারা মিষ্টি রেখেছেন চাঁদপুরের দশটি মিষ্টি বিক্রয় প্রতিষ্ঠানকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা আদায় এবং সমুদয় মিষ্টি ধ্বংস করার জন্যে ভ্রাম্যমাণ আদালত রায় দেয়। রাত ৯টা পর্যন্ত ১১৩ ড্রামে রক্ষিত প্রায় ১৭০ মণ মিষ্টি কয়লাঘাট ডাকাতিয়া নদীতে ফেলে বিনষ্ট করা হয়। কৃষ্ট ক্যাফে, ক্যাফে ঝীল, প্যারাডাইজ সুইটস্, মিষ্টি মেলা, শ্রী কৃষ্ণ ঘোষ, খায়ের মুন্সী, যোগল ঘোষ, সুরেশ ঘোষ, করুণাময়ী মিষ্টান্ন ভা-ার ও বালিয়ার ইত্যাদি মিষ্টি বিতান এসব ব্যবসায়ীর মিষ্টি কোল্ড স্টোরেজে রাখা ছিলো।
কোস্টগার্ড সদস্যরা গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ৭ ঘণ্টা দীর্ঘ সময় খাদ্যে ভেজাল বিরোধী অভিযান পরিচালনা করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সঞ্জয় মোহন্ত জানান, ভোক্তা অধিকার আইনের ৪৩ ধারায় খাদ্য দ্রব্যে ভেজালের যে অপরাধ তারা করেছে, তাদেরকে জেল না দিয়ে জরিমানা করে সমুদয় মিষ্টিগুলো ধ্বংস করা হয়।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কর্মকর্তা দেবাশীষ রায় জানান, আলু এবং মিষ্টি একই কোল্ড স্টোরেজে রাখা যায় না। খাদ্যপণ্য খাদ্যদ্রব্যের সাথে এক জায়গায় সংরক্ষণ অস্বাস্থ্যকর। ভোক্তা অধিকার আইনের ৪৩ ধারা তারা লঙ্ঘন করেছে। মিষ্টি ব্যবসায়ীরা জানান, তাদের মিষ্টিতে কোনো কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয় না। ১০-১৫ দিন সংরক্ষণে রাখার জন্য তারা কোল্ড স্টোরেজে রেখেছে। সব মিষ্টি ধ্বংস করায় আর্থিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।