ধেয়ে আসছে শীত। এখন মধ্য অগ্রহায়ণ এর কিছু দিন পড়েই দড়জায় কড়া নাড়বে শীত। রাজধানীতে শীতের আমেজ তেমন না পড়লেও গ্রামাঞ্চলে শুরু হয়েছে লেপের ব্যবহার।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, এবার শীতকালে তাপমাত্রা কমে নেমে আসতে পারে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এক্ষেত্রে পৌষে ৬ ডিগ্রি (ডিসেম্বর), আর মাঘে (জানুয়ারি) আরো কমে ৪ ডিগ্রিতে নামবে তাপমাত্রা।
চলতি মৌসুমের মধ্য ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে আগামী বছরের মধ্য ফেব্রুয়ারিতে শেষ হবে শীতকাল। আর এ সময়ের মধ্যেই সর্বোচ্চ চারটি মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্য প্রবাহ এবং একটি তীব্র শৈত প্রবাহ বয়ে যেতে পারে দেশের ওপর দিয়ে।
আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদের তৈরি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ডিসেম্বরে রাতের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমে যাবে। এ মাসের শেষ দিকে (পৌষের প্রথমার্ধ্বে) দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে একটি থেকে দুটি মৃদু (৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) অথবা মাঝারি (৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
এ সময় রাতের শেষ ভাগ থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চল ও নদ-নদী অববাহিকায় মাঝারি অথবা ঘনা কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা অথবা মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে।
এদিকে জানুয়ারি (পৌষের শেষ ও মাঘের প্রথম) মাসে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে একটি মাঝারি থেকে তীব্র (৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস) শৈত্যপ্রবাহ বেয়ে যেতে পারে।
এছাড়া দেশের অন্যত্র একটি থেকে দুটি মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে। তবে সার্বিকভাবে এ মাসের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি থাকবে।
বর্তমানে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। মৌসুমি লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরএবং বর্ধিতাংশ উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। এছাড়া উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত। এছাড়া উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত।
এ অবস্থায় গত কয়েকদিন ধরেই সন্ধ্যার পর থেকে বয়ে চলেছে মৃদু হিমেল বাতাস। সামগ্রিকভাবেই সারাদেশের তাপমাত্রা কমে এসেছে। তবে সবচেয়ে বেশি কমেছে উত্তরাঞ্চলে।