এম.এইচ.মাহিন
এক রাজ্য বাস করত নানা রঙের পাখি। প্রতিটি পাখীরই ছিল নিজস্ব আবাসন । পরস্পর ভালো সম্পর্ক থাকলেও প্রতিনিয়ত দ্বন্দ্ব হত বাবুই এবং চড়ুঁই পাখির সাথে ।কিছু পাখির মাঝে মিলে-মিশে থাকার প্রবনতা ছিল বেশ । আর কিছু পাখি কথা কেনা-বেচা করে ঝগড়াটা বাড়িয়ে তুলত।
এরুপ অশান্তির হাত থেকে পরিএান পেতে সমস্ত পাখি রাজার কাছে আবেদন করল আমরা এরুপ অবস্হা থেকে বাচঁতে চাই।বাচঁতে চাইলে তোমাদের মাঝ হতে একজনকে প্রতিনিধি বানাও।রাজা সাহেব সরাসরি হবে না আমরা নিবার্চন দেব। ঠিক আছে কবে নিবাচন হবে বল । নিবার্চনের তারিখ ঠিক হল ।
নির্ধারিত তারিখে সমস্ত পাখি সাজু-গুজু করে রাজার সামনে যাবে সিদ্ধান্ত। এরুপ সিদ্ধান্তে কাকের মন খারাপ। কাকের মন খারাপ শুনে প্রতিবেশী রাজ্যের একটা কাক ছুটে আসে বুঝানোর জন্য।দেখ ভাই কাক আমারও একই দশা আমার রাজ্যে আমি অবহেলিত। তবুও সংগ্রাম করে বেঁচে থাকি।
তবে প্রতিবেশী হিসেবে একটা পরামর্শ দিতে চাই দেখ তা কাজে লাগাতে পার কিনা। কি এমন অতিথি ভাই বল । সকল পাখিরা যখন গোসল করবে তখন তুমি সেখানে যাবে । যাওয়ার পর দেখবে অন্যে পাখির ঝরে পরা অনেক পালক দেখতে পাবে। ঐ সব পালক তোমার পালকের মাঝে মাঝে প্রবেশ করিয়ে দেখ রুপে পরিবতর্ন আনতে পার কিনা।
যেমন পরামর্শ তেমনি কাজ ।অন্য পাখির পালকে সেঁজে কাক হাজির রাজার সভায়।অন্য পাখিরাও এসেছে স্বীয় পুঁজিতে।সবাই উপস্হিত রাজা আসল এবার পাখির রাজা ঘোষণা হবে। ঠিক এমনি সময় অন্য পাখিদের আবেদন রাজা যার যা সামর্থ্য আছে তা নিয়ে আপনার সামনে উপস্হিত হতে হবে। এমন সব ধব্ণিতে কাকের মন খারাপ।
কারন কাকের যথেস্ট সুযোগ ছিল সে সুযোগটা হাত ছাড়া হয়ে যায় সহোদর পাখিদের জন্য।কাকের দু:থ প্রতিবেশী কাকের পরামর্শেও হল না ভাগ্যে পরিবতন ।যেই অবস্হা সেই কপাল।