জেএসসি পরীক্ষার্থী দিপালী আক্তার (১৪) গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। সকল প্রস্তুতিও সম্পন্ন করেছিল অভিভাবকরা। সোমবার রাতে মেহেদীও পড়ানো হয় দিপালীকে। বরযাত্রী কনের বাড়ি পৌছার আগেই বাঁধ স্বাদে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)। প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়েটি হতে পারেনি। কনের অভিভাবককে ভ্রাম্যমান আদালত ১হাজার টাকা জরিমানা ও ১৮বছর পূন্য না হওয়া পর্যন্ত দিপালীর বিয়ে দিবে না বলে মুছলেখা দেন। ঘটনাটি ঘটেছে, চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ইমামপুর গ্রামে। ইমামপুর গ্রামের দুবাই প্রবাসী হারুন মোল্লা জেএসসি পরীক্ষার্থী দিপালী আক্তারের সাথে ছেংগারচর পৌরসভার কেশাইরকান্দি গ্রামের ইলিয়াছ বেপারীর প্রবাসী ছেলে সোলাইমানের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল।
গোপন সূত্রে মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) একেএম মনিরুজ্জামান বাল্য বিবাহের সংবাদ পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মীর মোঃ আবদুল হান্নান ও মতলব উত্তর থানার এসআই ওয়াজেদ আলীকে কনের বাড়িতে পাঠানো হয়। কনের মা কোহিনূর বেগম মেয়েকে অল্প বয়সে বিয়ে দিবে না বলে মুছলেখা দেন।
ইউএনও একেএম মনিরুজ্জামান বলেন, বাল্যবিবাহ সমাজকে কলুসিত করে ফেলেছে। সমাজপতি, জনপ্রতিনিধিদের এ বিষয়ে আগ্রহী হতে হবে। সামাজিক অবক্ষয় রোধ করতে হলে বাল্যবিয়ে বন্ধ ছাড়া আর কোন উপায় নেই।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী, ১৮ বছরের কম বয়সী মেয়ের সাথে ২১ বছরের কম বয়সী ছেলের বিয়েকেই বাল্যবিবাহ বলা হয়। ১৯২৯ সালের বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে বাল্যবিবাহ বলতে বোঝায়, বাল্যকাল বা নাবালক বয়সে ছেলে মেয়েদের মধ্যে বিয়ে। এছাড়া বর-কনে দু’জনেরই বা একজনের বয়স বিয়ের আইন অনুযায়ী নির্ধারিত বয়সের কম হলে অর্থাৎ বিয়েতে মেয়ের বয়স ১৮ বছরের নিচে অথবা ছেলের বয়স ২১ বছরের নিচে থাকলে সেটাও আইনের চোখে বাল্যবিবাহ বলে চিহ্নিত হবে।
শিরোনাম:
মঙ্গলবার , ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ , ২৬ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।