চাঁদপুর সদর উপজেলার নির্বাচিত চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মাঠ পর্যায়ে ব্যাপক গ্রহণযোগ্য ও অত্যন্ত জনপ্রিয় নেতা বর্তমানে চাঁদপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ইউসুফ গাজীকে ঠেকাতে এবার বিএনপি ও জামাত গোপনে একাট্টা হওয়ার রাজনীতির চাঞ্চল্যকর সমীকরণ গত কয়েকদিনে তৈরি হওয়ার খবর সর্বত্র চাউর হওয়ার পরও আওয়ামীলীগের এই প্রার্থীর সাথেই বিএনপি প্রার্থী সফিক দেওয়ানের বাঘে-সিংহের জোর লড়াই হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। নয়া সমীকরণ অনুযায়ী, জামাত এই উপজেলায় তাদের চেয়ারম্যান প্রার্থী না থাকায় বিএনপি�র চেয়ারম্যান ও ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থীকে এবং বিএনপি তাদের ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থীর বদলে জামাতের ভাইস-চেয়ারম্যানকে গোপনে ব্যাপক সমর্থন করে একচেটিয়া ভোট দিয়ে যাবেন। বিএনপি�র ভাইস-চেয়াম্যান পদপ্রার্থী হচ্ছেন মোঃ খলিলুর রহমান গাজী (প্রতীক চশমা) এবং বিএনপি�র মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থী হচ্ছেন অ্যাডভোকেট মনিরা চৌধুরী (প্রতীক গোলাপ ফুল)। আর জামাতের ভাইস-চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হচ্ছেন অ্যাডভোকেট মোঃ শাহজাহান মিয়া (প্রতীক উড়োজাহাজ)। শেষ পর্যন্ত যদি গোপন রাজনীতির এই সমীকরণ বাস্তবে প্রতিফলিত হয় তাহলে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের জন্য তা কঠিন অবস্থা বা কঠিন পরিস্থিতির সৃষ্টি করবে বলে রাজনৈতিক বোদ্ধারা মনে করছেন। সেক্ষেত্রে ভোটের ফলাফল বিপরীত চিত্র ধারণ করলে অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না।
এছাড়া আওয়ামী লীগের ভাইস-চেয়ারম্যান পদে মূল প্রার্থী নাজমুল হোসেন পাটোয়ারী (প্রতীক তালা) এবং বেলায়েত হোসেন গাজী বিল্লাল (প্রতীক বই) আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ওই সমীকরণের কারণে ভাইস-চেয়ারম্যান পদটিও আওয়ামী লীগের হাতছাড়া হওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে বলে স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। অথচ আওয়ামী লীগের মূল প্রার্থী নাজমুল পাটোয়ারীর চেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী বেলায়েত হোসেন গাজী বিল্লালের সর্বস্তরে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা এবং প্রচুর ভোট রয়েছে। এমনকি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের হওয়ায় মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদটিও আওয়ামীলীগের সহজে হাতছাড়া হতে পারে বলে সাধারণ ভোটাররা মনে করছেন। এ পদে শিপ্রা দাস কলস প্রতীক এবং বিএনপি�র অ্যাডভোকেট মনিরা চৌধুরী (পদ্মফুল) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বিগত উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির অ্যাডভোকেট মনিরা চৌধুরী আওয়ামীলীগের একই প্রার্থী শিপ্রা দাসকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে চাঁদপুর সদর উপজেলার ভাইস-চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি স্ব-স্ব দলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও কোন্দলের সকল রেশারেশি ভুলে গিয়ে স্ব-স্ব দলের অস্তিত্ব রক্ষা তথা দলীয় বৃহত্তর স্বার্থে সকল পর্যায়ের নেতারা গত ক�দিন যাবৎ এক হয়ে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে ভোট চেয়ে ব্যাপক গণসংযোগ করছেন।