মিজানুর রহমান রানা
জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মো. আমির জাফর বলেছেন, জাটকা আহরণকারী জেলেদের নৌকা ধরে জাটকা গরিবদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে, জেলেদের জাল পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে, অ্যারেস্ট করা হয়েছে এবং ভ্রাম্যমাণ আদালত কর্তৃক সাজা প্রদান করা হয়েছে। তবে ভেবে দেখার বিষয় যে, এসব যদিও দেশের প্রচলিত আইন মোতাবেক করা হয়েছে কিন্তু আমাদের সচেতন হতে হবে এই জন্য যে জাটকা মাছগুলো জেলেরা নিধন করে সেই মাছগুলোকে বড় হতে দেয় না, জাটকা ধৃত জেলেদের ধরে জাল পুড়িয়ে গ্রেফতার করে জাটকা গরিবদের মাঝে বিলিয়ে দিলেও ওইসব জাটকা মাছগুলোতো আর বড় হয় না। জাটকা বা পোনা মাছ নিধন করার ফলে মূলত জেলেরাই তিগ্রস্ত হচ্ছে। কোনো প্রভাবশালী মহলের সহযোগিতায় এসব কাজ করে থাকলেও জেলেরাই জেল খাটে ওইসব প্রভাবশালী ব্যক্তিরা নয়। ইচ্ছা থাকলে জেলেরা বিকল্প কোনো কাজ খুঁজে নিতে পারেন। তিনি আরো বলেন, দেশের সম্পদ ইলিশ এভাবে আমাদের অবহেলায় ও সচেতনতার অভাবে নষ্ট হচ্ছে। ইলিশের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে না পারলে চাঁদপুরের যে ঐতিহ্য তা অস্তিত্বহীন হয়ে পড়বে। তাই আমাদেরকে এ ব্যাপারে আরো সচেতন হতে হবে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে চাঁদপুর উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে জেলা মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মারুফ হোসেন মিনারের পরিচালনায় ও জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নূরুল্লাহ নূরী, চাঁদপুর প্রেসকাবের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া জীবন, জেলা ক্যাব সভাপতি জীবন কানাই চক্রবর্তী, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল, মৎস্য ব্যবসায়ী আবদুল মালেক খন্দকার, মৎস্য চাষী আলমগীর মিয়াজী, জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতি চাঁদপুর জেলা শাখার যুগ্ম সম্পাদক তছলিম বেপারী, জেলা মৎস্য শ্রমিক সমিতির সভাপতি আবদুল মালেক দেওয়ান। শুরুতেই মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. ফিরোজ ইসলাম মৃধা। সবশেষে মৎস্যচাষী, মৎস্য ব্যবসায়ী ও রেণু পোনা উৎপাদনকারী এই তিনটি ক্যাটাগরিতে ৩জনকে ক্রেস্ট ও সম্মাননা সনদ প্রদান করা হয়।
শিরোনাম:
সোমবার , ১৭ মার্চ, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ৩ চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।