ঢাকা: গৃহকত্রী নওরীন আক্তার নদী প্রতিদিন ইস্ত্রি গরম করে আদুরীর সারা শরীরে ছ্যাঁকা দিতেন বলে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দিতে জানিয়েছে আদুরী।
ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট মো. নুরু মিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২২ ধারার বিধান মতে বুধবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আদুরীর ওই জবানবন্দি নেন।
জবানবন্দিতে আদুরী জানিয়েছে, তাদের বাড়ি পটুয়াখালী। মাঝে মধ্যে তাকে লাঠি দিয়ে পেটাতেন গৃহকত্রী নওরীন আক্তার নদী। ঠিকমতো কখনোই খেতে দেননি। আর প্রায় প্রতিদিনই তাকে ইস্ত্রি গরম করে সারা শরীরে ছ্যাঁকা দিতেন। এছাড়া ব্লেড দিয়ে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কাটতেন। বাসায় অনেক জায়গা থাকলেও তাকে থাকতে হতো বেলকুনিতে। রাতের বেলা শুধু মুড়ি থেতে দিতেন।
রাজধানীর পল্লবীর ৯১/১ নম্বর সাগুফতা বাড়ির দ্বিতীয় তলার একটি ফ্ল্যাটে গৃহকত্রী নওরীন আক্তার নদীর বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতো আদুরী। নদীর স্বামীর নাম সাইফুল ইসলাম। তিনি এমএলএম ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। ওই ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক।
গৃহকত্রী নওরীন আক্তার নদী গত ২২ সেপ্টেম্বর রাতে আদুরীকে মৃত ভেবে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন ডিওএইচএস বারিধারায় ডাস্টবিন ফেলে যান। গত ২৩ সেপ্টেম্বর তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধারের পর তাকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখনো সেখানেই সে চিকিৎসাধীন।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে ওই গৃহকত্রী নওরীন আক্তার নদীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর ওইদিনই নদীর তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ওই রিমান্ড শেষে গত ১ অক্টোবর তিনি ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট এরফান উল্লাহর কাছে নির্যাতনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।