মতলব:
ঈদকে সামনে রেখে মতলবে মাদক ব্যবসায়ীরা সক্রিয় হয়ে ওঠেছে। আর এ সকল মাদক আনার কাজে এখন ব্যবহৃত হচ্ছে নৌ ও সড়ক পথ। প্রতিদিন এ সকল রোড দিয়ে আসছে গাঁজা, ফেন্সিডিল, ও বিদেশী মদ। কুমিলার দাউদকান্দি, মুন্সিগঞ্জের গজারিয়াসহ বিভিন্ন স্থান থেকে মাদক ব্যবসায়ীরা সু-কৌশলে মাদকের চালান মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণে প্রবেশ করাচ্ছে। মঙ্গলবার মতলব উত্তর থানা পুলিশের এসআই ওয়াজেদ আলী ও এএসআই মোবারক হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স উপজেলার কালিপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে সবুজ (৩৫) নামে এক মাদক সম্রাটকে ১০ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক করে। এসময় তার সহযোগী পূর্ব লালপুর গ্রামের সগির (৪৫)কে গাঁজা ও গাঁজাসেবনের সরঞ্জামাদিসহ আটক করা হয়। কালিপুর গ্রামের আরশাদ প্রধানের ছেলে একাধিক মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ মামলার আসামী সবুজকে আটকের পর মতলব উত্তর থানার এসআই ওয়াজেদ আলী বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন।
এদিকে সহযোগী পূর্ব লালপুর গ্রামের সগির (৪৫)কে গাঁজাসেবনের সরঞ্জামাদিসহ আটকের পর মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির করা হয়।নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব আলী মোঃ সাজ্জাদ হোসেন সগিরকে একহাজার টাকা জরিমানা করেন।
গত কিছু দিন আগেও যে মাদক পাওয়া দুস্কর ব্যাপার ছিল সেটি এখন অনেকটা হাত বাড়ালেই পাওয়া যাচ্ছে। মতলব উত্তর থানা গোয়েন্দা ও থানা পুলিশের হাতে মাদকের দু একটি-ছোট চালান ধরা পড়লেও মূল হোতারা থেকে যাচ্ছে ধরা ছোয়ার বাইরে। যে কারনে মতলবে মাদক আমদানী বন্ধ হচ্ছে না। মহিলা ও শিশুরা তদন্তের বাইরে থাকায় মাদক ব্যবসায়ীরা অনেক ক্ষেত্রেই তাদের ব্যবহার করছে বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, মতলবের সাথে দেশের অন্য জেলাগুলোর যোগাযোগের মাধ্যম হচ্ছে নৌ-পথ ও সড়কপথ। এ সকল নৌপথের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে মাদক আসছে। বিশেষ করে, বেলতলী, কালির বাজার, কালিপুর, ষাটনল, সটাকী, মোহনপুর, এখলাছপুর, আমিরাবাদ, নন্দলালপুর, দূর্গাপুর লঞ্চঘাট। এছাড়াও সড়ক পথেও শ্রীরায়েরচর ও মতলব উত্তরে। মাদকের এ সকল বিরাট চালান প্রথমে চলে আসে এজেন্টদের হাতে। এর পর খুচরা বিক্রেতা ও সেখান থেকে চলে যায় সেবীদের হাতে।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশ সদস্য জানিয়েছেন, পুলিশের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ীরা এখন আর মাদক আনা নেওয়ার কাজ করেন না। তারা শুধু রিসিভ করেন। আনা নেওয়ার কাজে এখন ব্যবহার করা হচ্ছে বাইরের লোকদের। যে জেলা থেকে মাদক ক্রয় করা হয় ঐ জেলার লোকদের ভাড়া করে আনা হয়। যাতে তারা পুলিশের সন্দেহ তালিকার বাইরে থাকে। মতলব উত্তরে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার মাদক আসছে এমন কথা ¯^ীকার করে
তিনি বলেন, মাদক আমদানীর সাথে রাজনৈতিক কিছু লোক জড়িত রয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
এছাড়া ডিবি পুলিশের জনবল সংকট রয়েছে। সোর্স ও জনবল বাড়ালে মাদক নিমূল করা সম্ভব। সাজাপ্রাপ্ত মাদক বিক্রেতাদের ধরতে পুলিশ তৎপরতা চালাচ্ছে।
এব্যাপারে মতলব উত্তর থানার ওসি খান মোঃ এরফান জানান, ঈদকে সামনে রেখে মাদক ব্যবসায়ীরা সক্রিয় থাকলেও পুলিশ এ ব্যাপারে সর্তক রয়েছে। মাদক নির্মুলে পুলিশের নিয়মিত টহল অব্যহত রয়েছে। বর্তমানে মাদক নির্মুলে পুলিশ স্বক্রিয় রয়েছে। ঈদ উপলক্ষে যাতে মাদকের চালান মতলব উত্তরে প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য প্রবেশদ্বার গুলোতে কঠোর নজরদারী রাখা হয়েছে।