স্টাফ রিপোর্টার:
চাঁদপুর লঞ্চ টার্মিনাল ঘাটে ঈদে ঘুরমুখী যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পবিত্র ঈদুল ফিতরের আর মাত্র বাকি ৫ দিন। আগামী ৬ জুলাই ঈদ উদ্যাপন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে সরকারি অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ঈদের জন্য লম্বা ছুটি পেয়েছে। আজ শুক্রবার ও কাল শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় এবং ঈদের লম্বা ছুটি পেয়ে মানুষ তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে নিজ গৃহে ছুটে আসছে। চাঁদপুরের পুলিশ সুপার শামসুন্নাহারের নির্দেশে চাঁদপুর লঞ্চ টার্মিনাল ঘাটে যাত্রীদের জন্য বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে লঞ্চ টার্মিনাল ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, অপরাধ দমনের লক্ষ্যে এবং লঞ্চ যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে পন্টুন ও বাইরে ৮টি সিসি ক্যামেরা স্থাপনের জন্যে কেবল টানা হয়েছে। ইতোমধ্যে কয়েকটি ক্যামেরা স্থাপন করে চালু করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাকি ক্যামেরা চালু করা হবে বলে বন্দর কর্মকর্তা মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান জানান। তিনি আরো জানান, দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রী সাধারণ যাতে অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে লঞ্চে না উঠে সেজন্যে আমরা বিআইডব্লিউটিএ কয়েকটি লঞ্চ রিজার্ভ রেখেছি।
চাঁদপুর লঞ্চঘাট থেকে দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরাই সবচেয়ে বেশি যাতায়াত করে থাকে। পটুয়াখালী, বরিশাল, হুলারহাট, ভোলা, ঝালকাঠি, পাতারহাট, ভান্ডারিয়া, বড়গুনা, আমতলি, পিরোজপুর, খুলনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় চাঁদপুর লঞ্চঘাট থেকে লঞ্চযোগে যাতায়াত করে থাকে। আর ঈদুল ফিতরের সময় এসব এলাকায় যাতায়াতকারী নারী-পুরুষ সববয়সী যাত্রীরা যেনো নিরাপদে গৃহে গিয়ে পরিবারের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে পারে, সেজন্যে চাঁদপুর জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে লঞ্চঘাটে ২টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এতে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ ও নৌ পুলিশ সর্বাত্মকভাবে দায়িত্ব পালন করছে। নদীতে দায়িত্ব পালন করছে কোস্টগার্ড টহল সদস্যরা। যাত্রীরা যাতে নিরাপদে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে যাতায়াত করতে পারে সেজন্য নিশি বিল্ডিং রোড ও মাদ্রাসা রোডকে ওয়ান ওয়ে করে দেয়া হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ টার্মিনালে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করেছে ঠিকই। কিন্তু কথায় আছে চোরে না শুনে ধর্মের কাহিনী। গত ঈদের সময় জেলা প্রশাসন ও পুলিশ সুপার সভা করে লঞ্চ মালিকদের নির্দেশ দিয়েছিলো যেনো প্রতিটি যাত্রীবাহী লঞ্চে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। কিন্তু এক বছর অতিবাহিত হয়ে গেলেও সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়নি। গত কিছুদিন পূর্বে ঝমঝম লঞ্চের কেবিনে অজ্ঞাত নারীর লাশ পাওয়া গেলে পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার পুনরায় সভা করে লঞ্চে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের জন্য নির্দেশনা দেন। কিন্তু গতকাল বৃহস্পতিবার চাঁদপুর ঘাটে গিয়ে কয়েকটি লঞ্চে ঘুরে দেখা যায়, একটি লঞ্চের মালিক পুলিশ সুপারের নির্দেশ অমান্য করে লঞ্চ চালাচ্ছে। শুধু সিসি ক্যামেরা নয়, স্টাফ কেবিন ভাড়া না দেয়া, কেবিন ভাড়ায় রেজিস্টার মেনে চলা। এর কিছুই হচ্ছে না। এতে করে লঞ্চে চলাচল করলে যাত্রীরা সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে।