ঈদ ও পূজাকে ল্য রেখে শহরের যানজট নিরসনে প্রয়োজনীয় কার্যকরী পদপে গ্রহণ করা হবে
—————————– চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মো. ইসমাইল হোসেন
চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের মাসিক সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মো. ইসমাইল হোসেন বলেছেন, আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহা ও হিন্দু সম্প্রদায়ের পূজাকে ল্য রেখে চাঁদপুর শহরের যানজট নিরসনে প্রয়োজনীয় কার্যকরী পদপে গ্রহণ করতে হবে। ঈদ এবং পূজাকে কেন্দ্র করে শহরের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেনো স্বাভাবিক থাকে, জনগণ যেনো নির্বিঘেœ ধর্মীয় উৎসব পালন করতে হবে সেই জন্যে চাঁদপুরের প্রশাসনকে সার্বিকভাবে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে। এদিকে সম্প্রতি চাঁদপুরে বড় ধরনের কোনো লঞ্চ দুর্ঘটনা না ঘটলেও ঈদ ও পূজাকে কেন্দ্র করে যাতে লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে লঞ্চ দুর্ঘটনার সৃষ্টি না হয় সেজন্যে তিনি সাধারণ যাত্রীসহ বিআইডব্লিউটিএ’র কর্মকর্তা, লঞ্চমালিকসহ সকলকে সচেতন হবার অনুরোধ জানান।
গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নূরুল্যাহ নূরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের মাসিক সমন্বয় সভায় জেলা প্রশাসক মো. ইসমাইল হোসেন এসব কথা বলেন। সভায় আরো বক্তব্য রাখেন চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মো. আমির জাফর, পৌর মেয়র মো. নাছির উদ্দিন আহমেদ, চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেওয়ান মো. সফিকুজ্জামান প্রমুখ।
এ সময় পুলিশ সুপার তার বক্তব্যে বলেন, চাঁদপুর শহরে আগের তুলনায় অনেক যানজট বেড়ে গেছে। চাঁদপুরের বাইরে থেকে অনেক লোকজন আসা শুরু করেছে। ঈদ ও পূজাকে কেন্দ্র করে এটি আরো বাড়বে। তাই এ ব্যাপারে পৌরসভাসহ প্রশাসনের সব বিভাগের সাথে সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমরা যানজট নিরসনে কাজ করবো।
পৌর মেয়র মো. নাছির উদ্দিন আহমেদ বলেন, চাঁদপুর শহরে যাতে যানজট দীর্ঘস্থায়ী না হয় সেজন্যে আমরা দু’তিন মাসের মধ্যেই পৌরসভার অসমাপ্ত রাস্তার কাজগুলো সম্পন্ন করবো। অন্যদিকে চাঁদপুরে আরো কয়েকটি বাইপাস সড়কের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে এবং টাউন হল থেকে দর্জিঘাট পর্যন্ত শীঘ্রই নতুন রাস্তার কাজ শুরুর পরিকল্পনা হচ্ছে। এরই মধ্যে মাস্টারপ্ল্যান অনুসারে শহরের যানজট নিরসনে কালীবাড়ি টাউন হল থেকে বঙ্গবন্ধু সড়কের সাথে বাইপাস সড়ক নির্মাণ করার পরিকল্পনা চলছে। এসবি খালের ওপর কালভার্ট নির্মাণের করার পরিকল্পনা রয়েছে। এসব কিছু করতে গেলে অনেক হৈ চৈ হয়। এ ব্যাপারে তিনি প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন।
সভায় চাঁদপুরের জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা তাদের স্ব স্ব বিভাগ সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে : আগামী ৫ তারিখের মধ্যে সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের নিজস্ব ইমেইল অ্যাড্রেস খেলা, ই-গভর্নেস সংক্রান্ত তথ্য আপলেড বা ওয়েব পোর্টাল এর বিষয়ে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতাগ্রহণ, সরকারি সকল কার্যক্রম ইউএসসি কার্যক্রম গ্রহণ, জেলা পরিষদের বিভিন্ন প্রকল্পসমূহের কার্যক্রম দ্রুত বাস্তবায়ন করা, স্বাস্থ্য বিভাগের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে আলোচনা, চাঁদপুর ২৫০ শয্যার সরকারি জেনারেল হাসপাতালের বিভিন্ন প্রকার অব্যবস্থাপনা, অপরিচ্ছন্নতা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, সড়ক ও জনপথ বিভাগের অসম্পূর্ণ রাস্তার কাজগুলো বাস্তবায়ন, পানি উন্নয়নবোর্ডের চলমান প্রকল্পগুলো সম্পন্ন, শিা প্রকৌশল বিভাগের অধীনে চাঁদপুর সরকারি কলেজের বাউন্ডারির কাজ, জেলার সকল মাল্টিমিডিয়া কাসরুমগুলোর বর্তমান অবস্থা, মৎস্যজীবীদের ছবিসহ ডাটাবেইজের কাজ সম্পন্ন করার বিষয়ে আলোচনা সম্পন্ন হয়।