সাখাওয়াত হোসেন শামীম :
প্রবিত্র ঈদুল আযহার দীর্ঘ সময় ফেরিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত ঈদকে কেন্দ্র করে হাজীগঞ্জ-রামগঞ্জ সড়কের যানবাহনে ঈদের কমিশনের নামে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পাওয়া যায়। হাজীগঞ্জ-রামগঞ্জ ২০ কি: মি: মহাসড়ক জুড়ে চলছে গাড়ী চালকদের নীরব চাঁদাবাজি। দেখাযায় ঈদের বকশিশের দোহাই দিয়ে গত কয়েকদিনে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় অভিযোগ রয়েছে। এতে সাধারন যাত্রীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনা। এদিকে কোন নিয়ন্ত্রক না থাকায় গাড়ি চালকরা ও নির্ভয়ে চালিয়ে যাচ্ছে চাঁদাবাজি। জানাগেছে রামগঞ্জ থেকে হাজীগঞ্জে বাস ভাড়া পূর্বে ছিল ৩০ টাকা সেখানে দেখা গেছে বকশিশের নামকরে ৪৫-৫০ টাকা যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পাওয়া যায়। এ নিয়ে বাস ও সি এন জি আটো চালকদের সাথে প্রতিনিয়ত বাগবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়তে দেখা যায় যাত্রীদের। হাজীগঞ্জ বাজারের এমন এক বাগবির্তন্ডায় দেখা গেছে সি এন জি চালক ও যাত্রীর মাঝে। জলিল বেপারী নামের এ যাত্রী জানায় আমি রামগঞ্জ হতে বউ বাচ্চা সহ ৩ সিট নিয়েছি কিন্তু এখানে ন্যায্য ভাড়া ৯০ টাকা দিতে গেলে সে ৩০০ টাকা দাবি করে। সি এন জি চালক রফিক মিয়া জানান, ঈদ উপলক্ষে শুধু এ রুটে নয় প্রত্যেক রুটেই নিচ্ছে। কিন্তু এর কারন জানতে চাইলে তিনি বলেন ঈদ বকশিশ হিসেবে ভাড়া একটু বেশি নিচ্ছি। কারণ কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত ভাড়া ভেড়েছে দেখা গেছে ভাড়া নিয়ে চালক-যাত্রীদের মাঝে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এসব পরিস্তিতি সম্পর্কে বাস,সি এন জি সহ যানবাহন সমিতি সংগঠনের নেতাদের কাছ থেকে জানতে চাইলে তারা জানান,গ্যাসের দাম বৃদ্ধি এবং গ্যাস নিতে ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাড়িয়ে থাকতে হয়। যার কারনে যাত্রীদের কাছ থেকে চেয়ে একটু বেশি ভাড়া নেয়া হচ্ছে। তবে এরকম ভাবে কোন যাত্রী এখন পর্যন্ত আমাদের সংগঠনের কাছে অভিযোগ করেনি। সহসায় যাচাই বাচাই করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নিয়ম মাপিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
শিরোনাম:
সোমবার , ১৭ মার্চ, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ৩ চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।