উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে রাজনৈতিকভাবে আশ্রয় দেবে ইকুয়েডর। তবে ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট রাফায়েল কোরেয়া এ ঘোষণা দিতে পারেন। যুক্তরাজ্যে অবস্থিত ইকুয়েডরের দূতাবাসে আশ্রয় নিয়েছেন অ্যাসাঞ্জ। পালিয়ে আসার পর তিনি রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেন।ইকুয়েডর সরকারের একজন কর্মকর্তার রাজধানী কুইটোতে বলেন, ‘ জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে আশ্রয় দেবে ইকুয়েডর ।
সোমবার এক টেলিভিশন সাক্ষাত্কারে ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট রাফায়েল কোরেয়া বলেন, সুইডেনের আইনি প্রক্রিয়া আমাদের পর্যালোচনা করতে হবে। অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু, যেখানে গোপন আদালতে বিচারের মাধ্যমে তাকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হতে পারে ,তা আমাদের বিবেচনা করতে হবে ।বামপন্থী কোরেয়া জানিয়েছেন, তিনি অ্যাসাঞ্জের ব্যাপারে সহানুভূতিশীল। কিন্তু যুক্তরাজ্যের আইনি প্রক্রিয়া এবং আন্ত্মর্জাতিক আইনের প্রতিও তিনি শ্রদ্ধা দেখান ।দায়িত্বশীল সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ইতোমধ্যে তার সরকার অনেক তথ্য সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র কিংবা সুইডিশ কর্তপক্ষ অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করেনি। সুইডেনের আইন কর্মকর্তারা দুই সুইডিশ নারীর ধর্ষণ মামলার অভিযোগে অ্যাসাঞ্জকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান।
দুই সুইডিশ নারী অভিযোগ করেছেন ২০১০ সালে অ্যাসাঞ্জ তাদের ধর্ষণ করেছেন। কিন্তু অ্যাসাঞ্জ এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, দুই সুইডিশ নারীর সম্মতিতেই তিনি শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন।
ইরাকযুদ্ধ সম্পর্কিত যুক্তরাষ্ট্রের লাখ লাখ গোপন বার্তা প্রকাশ করে দিয়ে বিশ্বব্যাপী আলোড়িত হন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ ।
ওয়েবসাইট অবলম্বনে (আমিনুল)
চাঁদপুর নিউজ সংবাদ