পুলিশ প্রশাসন, কোস্টগার্ড ও মৎস্য কর্মকর্তার কাছ থেকে কোন ধরণের সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করতে না পারায় একটি স্বার্থান্বেষী মহল উদর পিন্ডু বুদুর ঘাড়ের মতো নিজের স্বার্থ হাসিল করতে অন্যকে ফাঁসানোর চেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। তেমনি চাঁদুরের অসহায় সাদ্দাম নামে এক যুবক ও নারায়ণগঞ্জ পাগলার কোস্টগার্ডের বোট মাঝি হিন্দু সম্প্রদায়ের লিটন দাসকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে স্বার্থান্বেষী মহল।
জানা যায়, সরকার ইলিশ রক্ষার্থে ৭ ইঞ্চির নিচের জাটকা ইলিশ সরবরাহ, বহন ও বিক্রি সম্পূর্ণ রূপে বন্ধের ঘোষনা করেছে। ইলিশ সম্পদ রক্ষার্থে কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ ও মৎস্য কর্মকর্তার যৌথ অভিযানে এ পর্যন্ত যাত্রীবাহি লঞ্চ থেকে বিপুল পরিমান মাছ জব্দ করেছে। এছাড়া মেঘনা পদ্মায় অভিযান চালিয়ে কারেন্টজালসহ জাটকা মাছ আটক করেছে। জব্দকৃত মাছ মৎস্য কর্মকর্তার উপস্থিততিতে কোস্টগার্ড এতিম খানা, মাদ্রাসা ও হতদরিদ্রদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।
কোস্টগার্ড ও মৎস্য কর্মকর্তাদের যৌথ অভিযানে অসাধু মৎস্য ব্যবসায়ীরা জাটকা ইলিশ পরিবহন ও বিক্রি করতে না পারায়, তারা ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। অবশেষে চাঁদপুরের অসহায় সাদ্দাম নামের এক যুবক ও নারায়ণগঞ্জ পাগলার দক্ষিণ পানগাঁও গ্রামের লিটন দাসকে মাছ বিক্রির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে চাকরী থেকে বহিস্কার করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে।
একটি সূত্র থেকে জানা যায়, পাগলা কোস্টগার্ডের পূর্বে উত্তর পাঁনগাও কেরানীগঞ্জের ছাত্তার মিয়ার ছেলে জর্জ মিয়া বোট মাঝি হিসেবে কর্মরত ছিলো। তার কিছু অপকর্মের ঘটনায় কোস্টগার্ড কর্মকর্তারা তাকে বহিস্কার করে দেয়। সে ক্ষিপ্ত হয়ে অসাধু মৎস্য ব্যবসায়ীদের সাথে আতাত সম্পর্ক রেখে নারায়নগঞ্জের একটি দৈনিক সচেতন নামের পত্রিকায় গত ২০ ফেব্রুয়ারি শুক্রবারে একটি সংবাদ প্রকাশ করায়। প্রতিবেদনটিতে যাদেরকে নিয়ে ও যে ঘটনা নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। এ ব্যাপারে পাগলার কোস্টগার্ড স্টেশন কমান্ডারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নদীতে জাটকা নিধন বন্ধের লক্ষ্যে ও চোরা চালানীদের ধরার জন্য কোস্টগার্ড তৎপর রয়েছে। কিছু স্বার্থান্বেষী মহল নিজেদের স্বার্থ হাসিল করার জন্য বিভিন্ন অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। যা সম্পূর্ণ অবাঞ্চনীয়। চাঁদপুরের যে যুবকটির নাম উল্লেখ করেছে তাদের সাথে বোট মাঝি লিটনের কোন সম্পর্ক নেই বলে প্রাথমিক ভাবে জানা যায়।
নারায়ণগঞ্জ মৎস্য কর্মকর্তা মর্জিনা বেগমের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, নদীতে কোন ধরণের অভিযান পরিচালনার সময় কোস্টগার্ড ও মৎস্যকর্মকর্তা ছাড়া বহিরাগত কোন লোক থাকে না। কখন কোন লঞ্চে অভিযান পরিচালনা করা হবে তাও কেউ জানেনা। এছাড়া আটককৃত মাছগুলো সম্পূর্ণরূপে মৎস্য কর্মকর্তা ও কোস্টগার্ডের সমন্বয়ে এতিমদের মাঝে বিতরণ করা হয়। জব্দকৃত মাছ বহিরাগত কারো নেয়ার সুযোগ নেই। তাই একটি কুচক্রী মহল সাংবাদিকদের ভুল বুঝিয়ে মিথ্যা তথ্য প্রদান করে সংবাদ প্রকাশ করায়।
শিরোনাম:
রবিবার , ২৫ মে, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ১১ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।