প্রতিনিধি ॥ চাঁদপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ২০০৯ সাল থেকে ২০১৪ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত ১শ’ ১৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মান ও বর্ধিত করা হয়েছে। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতাধীন এসব প্রতিষ্ঠান নির্মাণ কাজে সরকারের ব্যয় হয়েছে ৪হাজার ৪শ’ ১৭ কোটি ৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে কলেজ ভবন ১৮টি, স্কুল ৮১টি ও মাদ্রাসা ১৬টি।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর চাঁদপুর জোন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বর্তমান সরকারের বিগত ৫বছরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠাগুলোর যে উন্নয়ন মূলক কাজ হয়েছে, তা সংসদীয় আসন ভিত্তিক করা হয়ছে। চাঁদপর-১ কচুয়ায় নির্মাণ হয়েছে ১৯টি, চাঁদপুর-২ মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ উপজেলায় ২৭টি, চাঁদপুর-৩ (সদর ও হাইমচর) হয়েছে ৩৭টি, চাঁদপুর-৪ ফরিদগঞ্জ উপজেলায় ১২টি ও চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ শাহরাস্তি) উপজেলায় নির্মিত হয়েছে ২৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা এবং সংশ্লিষ্ট অফিস ও অন্যান্য ভবন নির্মাণসহ অধিক হারে কাজ হয়েছে চাঁদপুর ৩ আসনে। যেখানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও ৩ টি অফিস ও অন্যান্য ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এই আসনে ৩৭টি ভবন নির্মাণ কাজে ব্যয় হয়েছে ১হাজার ৫শ’ ৮৫ কোটি টাকা।
সবচেয়ে কম কাজ হয়েছে চাঁদপুর-৪ আসন অর্থাৎ ফরিদগঞ্জ উপজেলায়। এই উপজেলায় সংসদ সদস্য ছিলেন উপজেলা বিএনপি সভাপতি বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা লায়ন হারুনুর রশিদ। একটি কলেজ ভবন নির্মাণ কিংবা কোন ধরনের সংস্কার কাজ হয়নি এই উপজেলায়। স্কুল ও মাদ্রাসার কাজ হলেও ৫টি আসনের হারহারিতে কম পরিমানে কাজ হয়েছে এই উপজেলা।
জেলায় তুলনামূলক স্কুল ভবন নির্মাণ হয়েছে সবচেয়ে বেশী। জেলার ৮টি উপজেলায় সর্বমোট ৮১টি স্কুল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। যা মাধ্যমিক স্তরে রেকর্ড সংখ্যক উন্নয়ন হয়েছে বলে অনেকেই ধারণা করছেন।
সংসদীয় আসন ভিত্তিক এই শিক্ষা উন্নয়নমূলক কাজ বিগত সরকারের শেষ মুহুর্তে অনেকেই অনেক প্রতিষ্ঠানের কাজ উদ্বোধন করে গেছেন। তবে এখন সেগুলো বরাদ্দ না পাওয়ায় অনেক প্রতিষ্ঠানের কাজই বন্ধ হয়ে আছে।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর চাঁদপুর জোন অফিসের সহকারী প্রকৌশলী মো. নুর-ই-আখতার জানান, সংসদ সদস্যগণ বর্তমান সরকারে বিগত মেয়াদের শেষ মুহুর্তে কিছু কাজ শুরু করে গেছেন। কিন্তু সেগুলো নিয়মনীতির বাহিরে থাকায় বরাদ্দ ঠিকমত আসেনি। তবে দেরীতে হলেও কাজ সম্পন্ন হবে।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগের ৪হাজার ৫শ’ ২৪ কোটি ৮২ লাখ টাকার কাজ চলমান রয়েছে। এর মধ্যে কচুয়ায় ২০টি প্রতিষ্ঠান, মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণে ১৮টি, চাঁদপুর সদর ও হাউমচরে ২৩টি, ফরিদগঞ্জ উপজেলায় ১০টি এবং হাজীগঞ্জ ও শাহরাস্তি উপজেলায় ১৫টি।
সরকারের বিগত মেয়াদের ন্যয় এবারও ফরিদগঞ্জ উপজেলার উন্নয়নমূলক কাজের বরাদ্দ অনেকটা কম। এগিয়ে রয়েছে চাঁদপুর সদর ও হাইমচর সংসদীয় আসন।
সরকারের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উন্নয়ন বিষয়ে কচুয়া বঙ্গবন্ধু ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ শাহ্ মো. জালাল চৌধুরী বলেন, বর্তমান সরকারের শিক্ষার সামগ্রিক উন্নয়নের মধ্যে প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণ করাও একটি অংশ। কচুয়া বঙ্গবন্ধু ডিগ্রি কলেজেও একটি নতুন ভবন নির্মাণ কাজ চলছে। এই ভবনটি তৈরী হলে এই এলাকার অনেক ছেলে-মেয়ে পড়া-লেখা করার সুযোগ পাবে এবং শিক্ষার মান বৃদ্ধি পাবে।
চাঁদপুর শহরের পুরাণ বাজার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ দেলোয়ার আহম্মেদ জানান, বর্তমান সরকার শিক্ষা বিভাগরে উন্নয়নে খুবই আন্তরিক। চাঁদপুর জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করে স্কুল, মাদ্রাসা, বেসরকারি কলেজ ও সরকারি কলেজগুলোতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। পুরাণ বাজার কলেজেরও একটি ভবন নির্মাণ কাজ চলছে। পুরোপুরি বরাদ্দ আসলে খুব শীঘ্রই এই ভবনের কাজ সম্পন্ন হবে। জেলা সদরের এই কলেজটির ভবন নির্মাণ হলে বহু শিক্ষার্থী পড়া-লেখার সুযোগ পাবে। (নির্মাণ কাজের হিসাব শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর চাঁদপুর জোনের ১০ এপ্রিল ২০১৪ খ্রি. প্রতিবেদনে দেয়া তথ্যানুসারে।)
শিরোনাম:
বুধবার , ২৩ এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ১০ বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।