ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি=
ফরিদগঞ্জে গত ২৫ অক্টোবর ১৮দলীয় জোট, পুলিশ ও আওয়ামী লীগের ত্রিমুখী সংঘর্ষ চলাকালীন নিহত তিন যুবদল নেতার মধ্যে দৰিণ বদরপুর গ্রামের যুবদল নেতা বাবুলের স্ত্রী রোকেয়া বেগম বাদী হয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার চাঁদপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছে। ৯৯জনকে সুনির্দিষ্ট এবং অজ্ঞাত ৩-৪শ’ লোককে আসামী করে এই মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় ফরিদগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারী, সাধারণ সম্পাদক আবু সাহেদ সরকার, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মাসুদুল করিম ভূঁইয়া, পৌর আওয়ামী লীগের সম্পাদক মাহফুজুল হক, ফরিদগঞ্জ পৌরসভায় মেয়রের ছোট ভাই ও উপজেলা ছাত্রলীগের সম্পাদক ইসমাইল হোসেন পাটওয়ারী, ছাত্রদল নেতা ইমাম হোসেন এবং মেয়রের বড় ভাই আঃ রাজ্জাক রাজা, উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন শিপন, তরুণ দলের আহ্বায়ক এডিসন মেহেদী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি রফিকুল আমিন কাজল, যুগ্ম সম্পাদক আলমগীর হোসেন, ওয়াহিদুর রহমান রানা, উপজেলা যুবলীগের সম্পাদক ইকবাল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আবুল কাশেম কন্ট্রাক্টরের ছেলে উপজেলা ছাত্রলীগের শিৰা বিষয়ক সম্পাদক শাহজালাল সুইট, জেলা ছাত্রলীগের সদস্য পাবেল হোসেনসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ এবং মেয়র মঞ্জিল হোসেনের অনুসারীদের আসামী করা হয়। এজাহারে ফরিদগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারী, সাধারণ সম্পাদক আবু সাহেদ সরকার ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মাসুদুল করিম ভূঁইয়ার নির্দেশে ৪নং আসামী মেয়র মঞ্জিলের ভাই উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন যুবদল নেতা বাবুলকে গুলি করে বলে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া ২৩নং আসামী চররাঘবরায় গ্রামের আমান উল্যা গাজী তার স্বামীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। মামলায় ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ নাজমুল হকসহ সেখানে উপস্থিত সকল পুলিশকেও ঘটনার ব্যাপারে অভিযুক্ত করা হয়।
শিরোনাম:
বৃহস্পতিবার , ১৬ জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ৩ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
চাঁদপুর নিউজ সংবাদ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।