মিজান লিটন
* চেয়ারম্যান পদে ৩৩, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৭ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৫*
চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চাঁদপুরের পাঁচ উপজেলায় মোট ৭৫ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। গতকাল ২ ফেব্রুয়ারি ছিলো মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কাছে প্রার্থীগণ মনোনয়নপত্র জমা দেন। এ নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার হচ্ছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ নূরুল্লাহ নূরী ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার হচ্ছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ। ৭৫ জনের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৩৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৭ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৫ জন। আগামীকাল ৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সকাল ৯টা থেকে একটানা বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে মনোনয়নপত্র বাছাই করা হবে।
গতকাল ২ ফেব্রুয়ারি ছিলো মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। এর আগেও কেউ কেউ মনোনয়নপত্র জমা দিলেও গতকালই অধিকাংশ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এ জন্য গতকাল দিনভর রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারগণের কার্যালয় উৎসবমুখর ছিলো। প্রার্থীরা অনেকটা খোশ আমেজে সীমিত সংখ্যক নেতা-কর্মী নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন। এ সময় প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার স্থানীয় সাংবাদিকরাও উপস্থিত ছিলেন। মনোনয়নপত্র জমাদানকারী মোট ৭৫ জনের মধ্যে চাঁদপুর সদরে চেয়ারম্যান পদে ৯ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন; হাইমচরে চেয়ারম্যান পদে ৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন; মতলব উত্তরে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন; মতলব দক্ষিণে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন এবং ফরিদগঞ্জে চেয়ারম্যান পদে ১১ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন।
এ নির্বাচনে দল থেকে মনোনয়ন দেয়ার বিধান না থাকলেও দলের প্রচ্ছন্ন সমর্থন থাকে। যে জন্যে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও জামায়াতে ইসলামী থেকে প্রার্থীদের সমর্থন দেয়া হয়েছে। পাঁচ উপজেলায়ই আওয়ামী লীগ ও বিএনপি থেকে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন। দাখিলকৃত মনোনয়নপত্র বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে যে, চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী রয়েছেন মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ উপজেলায়, আর বিএনপির একক প্রার্থী হচ্ছে শুধু মতলব দক্ষিণ উপজেলায়। এ ছাড়া অন্য উপজেলায় উভয় দলেরই একই পদে একাধিক প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। যদিও আওয়ামী লীগ পাঁচ উপজেলায় একক প্রার্থী ঘোষণা দিয়েছে। তবে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে দলের বিদ্রোহী কোনো প্রার্থী থাকে কি-না।