আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল। বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। যুবলীগ থেকে মানবিক যুবলীগের রূপকার। পরিছন্ন রাজনীতির পথে তৃনমূল থেকে পাড়ি দেয়া একজন আলোকিত মানুষ। বাংলাদেশ আওয়ামী-যুবলীগের পরীক্ষিত ও ত্যাগী নেতা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার স্নেহধন্য ব্যক্তিত্ব।
প্রায় ৪০ বছরেরও অধিক সময় ধরে সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জিবিত একজন বিশ্বস্ত-আস্থাভাজন এবং কর্মী বান্ধব জনপ্রিয় নেতা মাইনুল হোসেন খান নিখিল। স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলন, বিএনপি-জামায়াত সরকারের জ্বালাও পোড়ানো আন্দোলনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের দু:সময়ের কান্ডারী, এক-এগোরাসহ দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সংগ্রামী অকুতোভয় বঙ্গবন্ধুর সৈনিক হিসেবে দৃঢ়তার সাথে অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে মাঠ কাঁপিয়েছিলেন। তিনি নেতা কর্মীদের আপন করে নিতেন খুব সহজে। কর্মীদের বিপদ আপদে সবসময় পাশে থাকতেন এবং এখনো কর্মীদের পাশে থাকতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। এমনকি তিনি যা খাবার খেতেন প্রত্যেক কর্মীকে তাই খাওয়াতেন।
বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বরত আছেন। এর আগে তিনি ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। এই তিনটি দায়িত্ব তিনি সফলতার সাথে পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই যুবলীগকে আপন মহিমায় ফিরিয়ে আনতে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। সারাদেশে যুবলীগ আজ সুসংগঠিত এবং জনসেবায় সোচ্ছার। এবং যুবলীগ থেকে মানবিক যুবলীগে রূপান্তরিত করতে তিনি সফল হয়েছেন। মানবিক যুবলীগ এখন তার নেতৃত্বে মানুষের সেবা করে। মানুষকে ত্রাণ দেয় এবং দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়ায়। যা আওয়ামীলীগ সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রে একটি বিশ্বস্ত সহযোগী বলা যায়।
মাইনুল হোসেন খান নিখিল বিএনপি-জামাত জোট সরকারের আমলে বহুবার কারা নির্যাতনের শিকার হন। ২০০৪ সালে তৎকালীন ঢাকা জোনের ডিসি পুলিশ পল্লবী থেকে উনাকে আটক করে কারাগারে পাঠান। দুইদিন পর মুক্তি পেয়ে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার সাথে দেখা করেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার দেখানো পথ অনুসরন করে দেশের কল্যানে কাজ করার লক্ষ্যে ছুটে চলছেন প্রতিনিয়ত। তিনি বহুবার পুলিশের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, এখনো শরীরের আঘাতের চিহৃ নিয়ে রাজনীতির মাঠে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। ২০১০ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে জাতিসংঘের অধিবেশন যোগ দান করেন। প্রধানমন্ত্রী সফল রাষ্ট্র নায়ক শেখ হাসিনার সুখী ও সমৃদ্ধ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে একজন ক্ষুদ্র কর্মী হিসেবে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল এর জন্ম চাঁদপুর জেলার মতলব উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের ঐতিহ্যবাহী খান পরিবারে। শৈশবে দুরন্ত দুর্বার চৌকুস ডানপিঠে মেধাবী ছেলেটি হাটি হাটি পা পা করে আজ একজন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নেতা। সততা দক্ষতা সেবা ন্যায়পরায়নতা নিষ্ঠায় সদায় সর্বদা একজন নিবেদিত প্রাণের মানুষ। তার পরিবারের সাত বোন, পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে তিনি সেজো। তার পিতা মরহুম মোফাজ্জল হোসেন খান ছিলেন বঙ্গবন্ধু আদর্শের একজন নিবেদিত কর্মী। বৃহত্তর মতলবে আওয়ামী লীগের রাজনীতি শক্তিশালী করতে কাজ করেছেন। বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করেই ছাত্রজীবন থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত হন মাইনুল হোসেন খান নিখিল ভাই । তিনি ১৯৭৯ সালে নিশ্চিন্তপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস এস সি পাশ করেন। পরবর্তিতে তিনি বগুড়ার শাহ সুলতান ডিগ্রী কলেজ থেকে বিএসএস ডিগ্রী অর্জন করেন। ১৯৯৭ সালে ঢাকার নবাবগঞ্জের সম্রান্ত মুসলিম পরিবারের কন্যা মমতাজ বেগমের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি দুই সন্তানের জনক, বড় ছেলে মাসরুর হোসেন খান নাবিল একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত। ছোট ছেলে মুসারাত হোসেন খান নাহিদ উচ্চ মাধ্যমিকে অধ্যায়নরত।
মাইনুল হোসেন খান নিখিল ৯০ দশকে লালবাগ থানা ছাত্রলীগের সক্রিয় সদস্য ছিলেন, পরবর্তী ১৯৯১ সালে অবিভক্ত ঢাকা মহানগর যুবলীগের সাবেক ৯ নং ওয়ার্ড, বর্তমান ১৩ নং ওয়ার্ড যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক নির্বাচিত হন, ১৯৯৪ সালে সম্মেলনের মধ্য দিয়ে ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তর এর সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০৩ সালে সাধারন সম্পাদক ,২০১২ সালে সভাপতি নির্বাচিত হন। সর্বশেষ ২০১৯ সালের ২৩ নভেম্বর বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ৭ম কংগ্রেসের মধ্য দিয়ে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ এর কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন। তিনি ২০১১ সালে পরিবারের সকল সদস্যদের নিয়ে উমরাহ হজ্ব পালন করেন আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল। ব্যক্তি জীবনে একজন সদালাপী, নম্র, ধার্মিক, সমাজ সেবক, ব্যবসায়ী হিসেবে তিনি ব্যাপক সফলতা লাভ করেছেন। বর্তমানে নাবিল প্রোপ্রাইর্টিজ লি:, নাবিল প্যাকেজিং এন্ড প্রিন্টিং ইন্ডাসট্রিজ লি: এবং মেসার্স খান ট্রেডার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। কর্মময় জীবনে বহুদেশ ভ্রমন করেন। রাজনীতির পাশাপাশি সামাজিক কর্মকান্ড ও দেশের শিক্ষা সংস্কৃতি পরিবেশ উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। নিজ গ্রাম চাঁদপুর মতলব উত্তর বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেছেন। নিশ্চিন্তপুর উচ্চ বিদ্যালয়, নিশ্চিন্তপুর ডিগ্রি কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া ঢাকা মিরপুরের বায়তুল আমান জামে মসজিদ, উপদেষ্টা বাইতুল সালাহ্ জামে মসজিদ ,দারুল কোরআন এতিম খানা মাদ্রাসা, বায়তুল মামুন জামে মসজিদ, বায়তুল আশরাফ জামে মসজিদ, বায়তুল রব জামে মসজিদ, বায়তুল আহসান জামে মসজিদ, খান বাড়ী বায়তুল ফালহা জামে মসজিদের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন।
আসন্ন ঢাকা-১৪ আসনের উপনির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ এর পক্ষ থেকে আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল একজন সংসদ সদস্য প্রার্থী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে মনোনয়ন দিলে তিনি নির্বাচন করবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার নিজের পরিবারের জন্য মাইনুল হোসেন খান নিখিল দেশবাসীর জন্য দোয়া চেয়েছেন।
চাঁদপুরনিউজ/এমএমএ/