২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণির ভর্তি কার্যক্রমের সময়সূচি সোমবার সন্ধ্যায় প্রকাশ করেছে ঢাকা শিক্ষাবোর্ড কর্তৃপক্ষ। বোর্ড জানিয়েছে, ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। এবার শুধু অনলাইনের (www.xiclassadmission.gov.bd) মাধ্যমে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন করা যাবে। ভর্তির যাবতীয় তথ্য শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
শিক্ষা বোর্ড আরও জানিয়েছে, সব সরকারি-বেসরকারি কলেজগুলোর একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হতে আগামী ৯ থেকে ২০ অগাস্ট পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে হবে। ২৫ অগাস্ট প্রথম পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করা হবে। প্রথম তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীদের ২৬ থেকে ৩০ অগাস্টের মধ্যে সিলেকশন নিশ্চয়ন (যে কলেজের তালিকায় নাম আসবে ওই কলেজেই যে শিক্ষার্থী ভর্তি হবেন তা এসএমএসে নিশ্চিত করা) করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে সিলেকশন নিশ্চয়ন না করলে আবেদন বাতিল হবে। ৩১ অগাস্ট থেকে ২ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় পর্যায়ের আবেদন নেওয়া হবে। পছন্দক্রম অনুযায়ী প্রথম মাইগ্রেশনের ফল এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের আবেদনের ফল প্রকাশ করা হবে ৪ সেপ্টেম্বর। ৫-৬ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের সিলেকশন নিশ্চয়ন করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে সিলেকশন নিশ্চয়ন না করলে আবেদন বাতিল হবে। ৭-৮ সেপ্টেম্বর তৃতীয় পর্যায়ের আবেদন নিয়ে পছন্দক্রম অনুযায়ী দ্বিতীয় মাইগ্রেশনের ফল এবং তৃতীয় পর্যায়ের আবেদনের ফল প্রকাশ করা হবে ১০ সেপ্টেম্বর। ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর তৃতীয় পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের সিলেকশন নিশ্চয়ন করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে সিলেকশন নিশ্চয়ন না করলে আবেদন বাতিল হবে। ১৩ সেপ্টেম্বর কলেজভিত্তিক চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হবে। আর ১৩ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শিক্ষার্থীদের কলেজে ভর্তি হতে হবে।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে থাকায় গত ১৭ মার্চ থেকে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।
মে মাসে মাধ্যমিকের ফল ঘোষণা হলে ৬ জুন থেকে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি শুরুর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক হারুন-আর-রশিদ। এরপর ৩১ মে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল দেওয়া হলেও মহামারী পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় একাদশে ভর্তি পিছিয়ে যায়।
এ বছর সারাদেশে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৮২ দশমিক ৮৭ শতাংশ, যা গতবছর ছিল ৮২ দশমিক ২০ শতাংশ। এ বছর মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮৯৮ জন, যা গত বছর পেয়েছিল ১ লাখ ৫ হাজার ৫৯৪ জন।
ফলাফলে দেখা গেছে, এবার এসএসসি-সমমান পরীক্ষায় ২০ লাখ ৪০ হাজার ২৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। তাদের মধ্যে ১৬ লাখ ৯০ হাজার ৫২৩ জন পাস করেছে।বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) তথ্যমতে, সারাদেশে উচ্চ মাধ্যমিকে সাধারণ, মাদ্রাসা ও কারিগরি মিলিয়ে মোট ১৮ লাখ ৪৬ হাজার ৭৬৫টি আসন রয়েছে। এর মধ্যে সাধারণ শাখায় রয়েছে প্রায় ১৩ লাখ। মাদ্রাসায় রয়েছে এক লাখ আট হাজার।
ব্যানবেইসের হিসাবে, আসন অনেক খালি থেকে যাবে। আর ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের হিসাব মতে, সারাদেশের সব কলেজ, কারিগরি ও মাদ্রাসা মিলিয়ে প্রায় সাড়ে চার হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একাদশ শ্রেণিতে মোট আসন সংখ্যা ১৯ লাখ ৬৬ হাজার। আর এবার পাস করেছে মোট ১৬ লাখ ৯০ হাজার ৫২৩ জন। সে হিসেবে উচ্চ মাধ্যমিকে আসন ফাঁকা থাকবে দুই লাখ ৭৫ হাজার ৫৭৭টি।
-তথ্য সূত্র : সমকাল