প্রতিনিধি
গত ১ মাসেও উদ্ধার হয়নি মাদ্রাসার অপহৃত এক ছাত্রী (১৩)। গত ১১ সেপ্টেম্বর মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফিরার পথে দিনে দুপুরে একই এলাকার চিহ্নিত কয়েকজন সিএনজি স্কুটারযোগে তুলে নিয়ে যায় ঐ ছাত্রীকে। এরপর থেকে আর হদিস মেলেনি অষ্টম শ্রেণীতে পড়ুয়া এই ছাত্রীর। এ ঘটনায় পুলিশ প্রধান আসামীকে আটক করতে না পারলেও অন্য আসামীরা জামিনে এসে মামলা উঠিয়ে নেয়ার জন্যে ছাত্রীর পরিবারকে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। এ ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদগঞ্জ উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়নের ফনিসার গ্রামে। এ বিষয়ে দায়ের করা মামলা নং ২০/২৩৪। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ সংশোধিত /০৩-এর ধারা ৭/৩০ অপহরণ ও সহায়তা করার অপরাধ। মামলার বাদী ছাত্রীর মা ফাতেমা বেগম।
জানা যায়, গত ১১ সেপ্টেম্বর দুপুরে স্থানীয় লক্ষ্মীপুর কাশেমিয়া আলিম মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণীতে পড়ুয়া ঐ ছাত্রী ছুটি শেষে মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফিরছিল। পথিমধ্যে পার্শ্ববর্তী সেন্দ্রা সড়কের মধ্যবর্তী স্থানে পৌঁছা মাত্র একই গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে সাদ্দাম হোসেন (২০), মোঃ সফিক মিয়ার ছেলে সবুজ (১৯), আঃ সাত্তারের ছেলে ফয়সাল (২১), আবুল খায়েরের ছেলে দেলোয়ার হোসেন (২৮), হাসেম গাজীর ছেলে স্বপন (২১), আবুল বাসারের ছেলে সুমন (২৩) মিলে ২টি সিএনজি স্কুটারযোগে ঐ ছাত্রীকে জোরপূর্বক উঠিয়ে সেন্দ্রা বাজারের দিকে চলে যায়। আর এ ঘটনা দূর থেকে দেখেন পার্শ্ববর্তী জাকনী এলাকার মৃত নোয়াব আলীর ছেলে মুকবুল আহমেদ, মোঃ সিরাজের ছেলে মামুন, খলিলুর রহমানের ছেলে রাসেলসহ অন্যরা। তারা ডাক-চিৎকার দেয়ার সাথে সাথে স্কুটার দুটি পালিয়ে যায়। এই প্রত্যাক্ষদর্শীদের থেকে ঘটনা শুনে তাৎক্ষণিক ঐ ছাত্রীর মা স্থানীয় সালিসগণকে জানান। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা এলাকার প্রভাবশালী বিধায় সালিসগণের পরামর্শে তিনি মামলাটি দায়ের করেন।
ছাত্রীর মা মামলার বিবরণীতে লিখেন, সাদ্দাম হোসেন ঐ ছাত্রীকে মাদ্রাসায় আসা-যাওয়ার পথে বাজে কথা ও কুরুচিপূর্ণ আচরণ করে বিয়ের প্রস্তাব দিতো। আর এ ঘটনা ঐ ছাত্রী তার মাকে বাড়িতে এসে জানালে তিনি বিষয়টি নিয়ে সাদ্দামের বাবার কাছে গেলে তিনি আরো রেগে যান।
ছাত্রীর চাচা ইমাম হোসেন জানান, পুলিশ যে ক�জনকে আটক করেছে ইতিমধ্যে তাদের কয়েকজন জামিনে এসেছে। আমরা এমনিতে আমাদের ভাতিজিকে এখনো পাইনি, আর তাকে কি বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে না মেরে ফেলা হয়েছে তাও আমরা বুঝে উঠতে পারিনি। প্রধান আসামী এখনো আটক হয়নি, তার উপর আবার জামিনে আসা আসামীরা আমাদেরকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে মামলা উঠিয়ে নিতে।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফরিদগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক শফিউল আজম মুঠোফোনে বলেন, আসামীদের হুমকির বিষয়ে একটি জিডি করা হয়েছে। আসছে হাজিরায় আমি বিষয়টি আদালতকে জানাবো। অপর প্রশ্নে এ কর্মকর্তা বলেন, ছাত্রীকে উদ্ধার ও প্রধান আসামীকে আটকের জন্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি ।