নিজে সন্যাসী হয়ে- আমাকে করেছো সংসারী
আমার নিরবতার ধ্যানে নৈঃশব্দে ছিলে শুধু তুমি
এ অন্তরালে কি আছে – কে তা দেখে —
সেই দয়ালু বৃক্ষের কাছে এসে বসে থাকি
যদি কখনও একবার আস —
ওখানেই তো চোঁখের কয়েক ফোটা জলে
বন্দি হয়ে ছিলাম–
পিছনের পুরনো পথে অনাহত চলি–
তোমার ভুবনেও সে চেনা পথ রয়েছে-
দেখা পেলে কড়ায় -গন্ডায় হিসেব নিবনা
তবে জানতে চাইবো, কেন তোমাকে মনে এলে
পৃথিবীর কোথাও সুখ থাকেনা !
সল্প আয়ুর এ জীবনে বিচ্ছেদের তাপজ্বালা নিয়ে
চোরাটানের কাঙালী হওয়ার সময় বা কতটুকু ?
ঠায় প্রতিক্ষা ,প্রানের ফুল্লুধারা যেন সন্ধ্যাতারায়
হারিয়ে না যায় –
একদিন মনে হলো বৃক্ষ পল্লবিত,সঞ্জীবিত চারিধার
স্মৃতির রেনু ,সেই চোঁখের জলে উড়ছে —-
জীবন অবয়বে প্রজ্বলিত ঝর্নার আর্তনাথ
অনন্ত বেদনা ভেসে যাচ্ছে বুক ভাঙা বাতাসে
আলো ছায়ায় মিশে গেছে পুরানো সে সংসার
সপ্তসুরের অমারতায়
কম্পমান বসে আছে এক ভুখা সন্ন্যাসী
এ যেন এক স্বর্গের বাগিচা–