গতবারের মতো এবারও হচ্ছে না ৫ম শ্রেণির ‘প্রাথমিক শিক্ষাসমাপনী’ বা পিইসি, ৮ম শ্রেণির ‘জুনিয়র সার্টিফিকেট (জেএসসি)’ ও সমমানের পরীক্ষা। কোন প্রক্রিয়ায় ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা মূল্যায়নের মাধ্যমে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে উন্নীত হবে তা ইতিমধ্যে প্রকাশ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। আর অষ্টম শ্রেণির মূল্যায়ন হবে স্কুলের স্বাভাবিক বার্ষিক পরীক্ষার আদলে—এমনটি জানিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রতিটি বিষয়ে বার্ষিক পরীক্ষা হবে ৬০ নম্বরে। আর ক্লাস টেস্ট থেকে ৪০ শতাংশ নম্বর যুক্ত হবে।
প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মোট ১০০ নম্বরের পাঁচটি বিষয়ে বার্ষিক মূল্যায়ন হবে। এই ১০০ নম্বর থেকে ৪০ শতাংশ নম্বর এবং তৃতীয় প্রান্তিক পরীক্ষার ৬০ নম্বরের সঙ্গে যুক্ত করে মূল্যায়ন করা হবে।
তথ্য অনুযায়ী, বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় এবং ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা এ পাঁচটি বিষয়ের ওপর প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন হবে। প্রতিটি বিষয়ের কমপক্ষে পাঁচটি শ্রেণি পরীক্ষা নিতে হবে শিক্ষকদের। প্রতিটি শ্রেণি পরীক্ষার নম্বর হবে ২০। এ পাঁচটি শ্রেণি পরীক্ষার প্রাপ্ত মোট নম্বরের ৪০ শতাংশ ও তৃতীয় প্রান্তিক পরীক্ষার ৬০ নম্বর—মোট ১০০ নম্বরে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক মূল্যায়ন হবে। এভাবে শিক্ষার্থীদের অগ্রগতির সমন্বিত প্রতিবেদন তৈরি করতে হবে শিক্ষকদের। এরপর বিদ্যালয় অভিভাবকদের হাতে ফল তুলে দেবে। তবে দেশের সবগুলো প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিশেষ করে মাধ্যমিক বিদ্যালয়সংযুক্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে মূল্যায়ন হয়েছে নিজস্ব পদ্ধতিতে।
কবে ৫ম শ্রেণির এই বার্ষিক পরীক্ষা হবে এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরেরর পরিচালক (পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন) ড. উত্তম কুমার দাস বলেন, পরীক্ষার তারিখ আমরা নির্ধারণ করে দেব। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এই পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণের চিন্তা আমাদের রয়েছে।