চাঁদপুর নিউজ রিপোর্ট
ফরিদগঞ্জে সাঈদ আল মামুন নামে এক ব্যক্তি এমবিবিএস পাস না করেও নিজেকে ডিগ্রিধারী ডাক্তার পরিচয় দিয়ে মানুষের চিকিৎসা করে যাচ্ছেন। প্রায় ২বছর যাবৎ তিনি ফরিদগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডস্থ ফরিদগঞ্জ সেন্ট্রাল হাসপাতালে মেডিকেল অফিসার হিসেবে চাকুরি করছেন। ডাক্তার না হয়েও নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে তিনি মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছেন। এ নিয়ে ফরিদগঞ্জের সচেতন জনগণের মাঝে নানা গুঞ্জন চলছে এবং ডাক্তারদের মাঝেও ক্ষোভ বিরাজ করছে। অথচ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে তেমন কোনো মাথা ঘামাচ্ছে না।
বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, উক্ত সাঈদ আল মামুনের বাড়ি বগুড়ায়। তিনি সিরাজগঞ্জের খাজা ইউনুছ আলী মেডিকেল কলেজ নামে একটি প্রাইভেট মেডিকেল কলেজে পড়াশোনা করেছেন ঠিক, তবে পাস করেন নি। এমবিবিএস পাস না করেই তিনি নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে দিব্যি চিকিৎসা করে যাচ্ছেন। অথচ এমবিবিএস পাস করার পর ইন্টার্নি করে বিএমডিসির রেজিস্ট্রেশন ছাড়া কেউ নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে চিকিৎসা পেশা চালাতে পারেন না।
এ ব্যাপারে কথিত ওই ডাক্তার সাঈদ আল মামুনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার রেজিস্ট্রেশন নম্বর জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এমনকি ওই হাসপাতালের এমডি ও ম্যানেজারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারাও রেজিস্ট্রেশন নাম্বার বলতে পারেন নি। সবাই এ প্রতিবেদককে সরাসরি গিয়ে কথা বলার অফার করেন।
উক্ত সাঈদ আল মামুনের কাছে এই প্রতিবেদক তার বিএমডিসির রেজিস্ট্রেশন নম্বর জানতে চাইলে তিনি বলেন, ফোন কেনো? আপনি সরাসরি আসেন। আর নাম্বার কী জন্য? তখন প্রতিবেদক বলেন, আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ হচ্ছে আপনি এমবিবিএস পাস না করেই ডাক্তার পরিচয় দিয়ে ওই হাসপাতালে মেডিকেল অফিসার পদে চাকুরি করছেন। অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্যই আপনার সাথে কথা বলা এবং রেজিস্ট্রেশন নাম্বার চাওয়া। জবাবে সাঈদ বললেন, যাচাই করার ক্ষমতা আপনাকে কে দিয়েছে। উত্তরে প্রতিবেদক বললেন, আমার সাংবাদিকতার এথিক্স তথা নীতিমালা আমাকে এ ক্ষমতা বা অধিকার দিয়েছে। তারপর তাকে কয়েকবার অনুরোধ করার পরও তিনি তার রেজিস্ট্রেশন নাম্বার বলেন নি। জবাবে তিনি শুধু তার সাথে সরাসরি দেখা করার কথা বলেছেন। তার সাথে কথা বলার কিছুক্ষণ পর বেলাল নামে একজন নিজেকে ফরিদগঞ্জ সেন্ট্রাল হাসপাতালের এমডি পরিচয় দিয়ে এই প্রতিবেদককে একই কথা বললেন। হাসপাতালের ম্যানেজারের সাথে কথা হলে তিনিও একই কথা বললেন। অর্থাৎ সরাসরি গিয়ে কথা বলতে বললেন। এ অভিযোগের বিষয়টি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে তদন্ত করে দেখার জন্য সিভিল সার্জনের কাছে ফরিদগঞ্জবাসী দাবি জানিয়েছে।