রফিকুল ইসলাম মিয়াজী ॥
চাঁদপুরে কঠোর নিরাপত্তায় ও নকল মুক্ত পরিবেশে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ২য় দিন অতিবাহিত হয়েছে। বিএনপি-জামায়াতের টানা অবরোধ ও হরতালের কারণে দু-দুবার পরীক্ষা পিছানোর পর উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্য দিয়ে সারা দেশের ন্যায় গত শুক্রবার চাঁদপুরে এসএসসি, দাখিল ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়।
আজ শনিবার এসএসসি পরীক্ষায় বাংলা দ্বিতীয় পত্র ছিল। খেরুদিয়া দেলোয়ার হোসেন স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে ৩শ’ ১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১ জন ছাত্রী অনুপস্থিত ছিল। ৪টি বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা উক্ত কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। কেন্দ্রগুলো হচ্ছে, আমিরাবাদ জিকে উচ্চ বিদ্যালয়, লালপুর বালুধুম উচ্চ বিদ্যালয়, খেরুদিয়া দেলোয়ার হোসেন স্কুল এন্ড কলেজ, সফরমালি উচ্চ বিদ্যালয়। এ বছর এই প্রথম এই কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সুন্দর ও নকলমুক্ত পরিবেশে উক্ত কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্র সচিব খেরুদিয়া স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ মেজবাহ উদ্দিন ভূঁইয়া। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেন, উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসার মোঃ তাজুল ইসলাম এবং বিআরডিবি’র সহকারি পল্লী উন্নয়ন অফিসার মোঃ আবু শামিম। এছাড়া মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চাঁদপুর আহমাদিয়া ফাজিল মাদ্রাসা, চাঁদপুর কেন্দ্র-১ এর ভেনু টেকনিক্যাল স্কুলে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। আজ হাদিস শরীফ পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৩শ’ ২২ জন। উপস্থিত ৩শ’ ২২ জন। ১০টি মাদ্রাসার পরীক্ষার্থীরা উক্ত কেন্দ্রের ৫টি কক্ষে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব পালন করেন আহমাদিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওঃ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান। গত শুক্রবার কোরআন শরীফ বিষয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। গত ২ দিনে পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন, এ এসপি মোঃ কামরুল ইসলাম, চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দুলাল চন্দ্র সূত্রধর, এসিল্যান্ড চাঁদপুর সদর সহ পরীক্ষায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বৃন্দ। সুন্দর ও নকলমুক্ত পরিবেশে উক্ত কেন্দ্রে গত দু দিনের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরীক্ষা কেন্দ্রে বহিষ্কার ও অনুপস্থিত নেই। ছাত্র-ছাত্রীরা পরীক্ষা কেন্দ্রে নিরাপত্তায় পরীক্ষা দিলেও কেন্দ্রের বাহিরে অভিভাবকরা উৎকন্ঠা ও উদ্বেগে ছিল। প্রত্যেক অভিভাবকই গত দু দিনে তাদের সন্তানদেরকে পরীক্ষা কেন্দ্রে নিয়ে এসেছে এবং নিরাপদে বাড়িতে পৌঁচেছে।
শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বাংলা প্রথম পত্র নকল মুক্ত পরিবেশে ও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই জেলায় পরীক্ষার্থীরা নিরাপত্তায় পরীক্ষা দিয়েছে। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ের পূর্বে রাস্তায় আইন শৃংখলা বাহীনির নজরদারি ছিল সতর্কতায়। পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা নিরাপদে পরীক্ষা কেন্দ্রে আসা-যাওয়া করেছে। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে জেলা প্রশাসক মোঃ ইসমাইল হোসেন, পুলিশ সুপার মোঃ আমির জাফর, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ নুরুল্লাহ নুরী, এ এসপি, এ এসপি সার্কেল মোঃ হেলাল উদ্দিন, ভিজিল্যান্সটিমসহ পরীক্ষায় সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন। কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কেন্দ্র সচিব, পর্যবেক্ষকসহ পরীক্ষায় সংশ্লিষ্ট সকলই গুরুত্ব সহকারে তাদের স্ব স্ব দায়িত্ব পালন করেছেন। গতকাল শনিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বাংলা ২য় পত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শুক্রবার চাঁদপুর সদরের নুরুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ নুরুল্লাহ নুরী পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন। এ সময় নকল মুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ায় তিনি সন্তেুাষ্টি প্রকাশ করেন। নুরুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ে পরীক্ষার্থী ছিল ৬৯০ জন। চাঁদপুর সদরের ১০টি বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীরা উক্ত কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। ২ জন পরীক্ষাথী (ছাত্রী) অনুপস্থিত ছিল। কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছিলেন, সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ নাছির উদ্দিন। কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। নুরুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সাখাওয়াত হোসেন পাটওয়ারী। বিপুল সংখ্যক অভিভাবক পরীক্ষা কেন্দ্রের নির্দিষ্ট দূরত্বে অবস্থান করে। ফরাক্কাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসিতে ছাত্র ৪৪৩ জন ও ছাত্রী ৬৮৮ জন পরীক্ষার্থী ছিল। এর মধ্যে ৭ জন পরীক্ষার্থী (ছাত্রী) অনুপস্থিত ছিল। কারিগরিতে ছাত্র ২৯জন এবং ছাত্রী ৯ জন পরীক্ষার্থী ছিল। ৩০টি কক্ষে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ১১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ফরাক্কাবাদ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছিলেন, সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোঃ জামাল উদ্দিন এবং যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মোঃ আজহার উদ্দিন চৌধুরী। সুষ্ঠু, সুন্দর ও নকল মুক্ত পরিবেশে উক্ত কেন্দ্রে ১ম দিনের পরীক্ষা সমাপ্ত হয়।