আবু সাঈদ, কচুয়াঃ গতকাল রবিবার কচুয়া উপজেলার ব্যবসায়িক প্রানকেন্দ্র রহিমানগর বাজারে ফুটপাতের অবৈধ এক চালা দোকান-পাট উচ্ছেদ অভিযানে কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এ.এস.এম মাঈন উদ্দীন‘র নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। এ ভ্রাম্যমান আদালতে বিদ্যুৎ আইনে ১৯১০ এর ৩৯ ধারায় ৩৫ হাজার টাকা ও মোটরযান আইনে ১৯৮৩ এর ১৮৩, ১৫৫ ধারায় সাড়ে ৩ হাজার টাকা, ইমারত দখল পূর্ন উদ্ধার আদেশ আইনে ১৯৭০ এর ১১ ধারায় ১৮৮ দন্ডবিধিতে ২ হাজার ২‘শ টাকা সহ মোট ৪০ হাজার ৭‘শ টাকা জরিমানা আদায় করে। এ ছাড়া ৬টি সিএনজি, ২টি নছিমনের বৈধ কাগজপত্র না থাকায় আটক করে মামলা করা হয়। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা কালে নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে ছিলেন- সহকারি সিনিয়র পুলিশ সুপার (হাজীগঞ্জ সার্কেল) আব্দুল হানিফ, কচুয়া থানা অফিসার ইনচার্জ ইবরাহীম খলিল, কচুয়া পল্লী সমিতির এজিএম মোঃ হাসানুল বান্না, রহিমানগর বাজার উন্নয়ন কমিটির সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আমির হোসেন, সাধারন সম্পাদক মোঃ সহিদ উল্ল্যা, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক সালাউদ্দিন ভুইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক বাবুল গাজী, রহিমানগর সিএনজি মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ সোহাগ, যুবলীগ নেতা জহির মোল্লা প্রমুখ।
যে সকল অবৈধ দোকান, ইমারত নির্মান করে দখল ও সিএনজি‘র জরিমানা করা হয়- সেগুলো হচ্ছে- রুহুল আমিনের মোদি দোকান ১০ হাজার টাকা, পান্না ইয়াং ফ্যাশন ৫ হাজার টাকা, আকমত আলী ১০ হাজার টাকা, হানিফ ১ হাজার টাকা, সিটিসেল ইলেক্ট্রনিক্স সাইফুল ইসলাম ১০ হাজার টাকা, বিমল চন্দ্র পাল ১ হাজার টাকা, নুসরাত এন্টারপ্রাইজ ২‘শ টাকা, সেলিম ড্রাইভার ৫’শ টাকা, শাহাদাত হোসেন মামুন ৫‘শ টাকা, হারুন ড্রাইভার ২ হাজার ৫’শ টাকা। উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার পর বাজারে বিভিন্ন গলিপথে যে ঠাসাঠাসি অবস্থা বিরাজ করছিল তার অপসারন ঘটে বাজারটি বেশ পরিষ্কার পরিছন্ন রূপ নেয়। এতে স্থানীয় অধিবাসীরা দারুন খুশি হয়। অনেকের মুখে শোনা যায়, সব সময় যদি বাজারের এ সুন্দর পরিবেশ বজায় থাকত তাহলে কতই ভাল হত।
উল্লেখ্য যে, চাঁদপুরের নবাগত পুলিশ সুপার শামছুন্নাহারের পরামর্শে এ উচ্ছেদ অভিযান করা হয়।
শিরোনাম:
সোমবার , ১৯ মে, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।