মিজান লিটন
কচুয়া উপজেলার বহুল আলোচিত অজ্ঞাত নারী হত্যাকাণ্ড ঘটনার মূল হোতা উত্তর গোহট ইউনিয়নের খিলা মসজিদ বাড়ির মৃত কুদ্দস মিয়ার ছেলে দুলাল (৫০) কে বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় পুলিশ গ্রেফতার করেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকারী দুলালের তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ জানায়, হত্যাকাণ্ডের শিকার অজ্ঞাত নারীর নাম নদী। সে ঢাকার পীর জঙ্গি মাজার এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করত। দুলাল ঢাকার তেজগাঁও স্ট্যান্ডার্ড গার্মেন্টসে চাকুরি করত। দুলালে সাথে নদীর পরিচয়ের পর অবৈধ মেলামেশা করে আসছিল। তাকে বিয়ে করবে বলে দুলাল ২০ ডিসেম্বর রাত ১২টার দিকে কচুয়া উপজেলার তার নিজ এলাকার আইনগিরি গ্রামের ভূঁইয়া বাড়ি সংলগ্ন নির্জন স্থানে নিয়ে তাকে প্রথমে লাঠি, ছুরি ও ইট দিয়ে মাথা থেতলিয়ে মুখমণ্ডল বিকৃত করে হত্যা করে বলে পুলিশের নিকট দুলাল স্বীকারোক্তি প্রদান করেছে। দুলাল পুলিশকে আরও জানিয়েছে, পীর জঙ্গি মাজার এলাকায় নদীর পিতার মিষ্টির দোকান রয়েছে। ২১ ডিসেম্বর কচুয়ার ঐ আইনগিরি গ্রামে অজ্ঞাত মহিলার লাশ পুলিশ উদ্ধার করার পর পরই এলাকায় জনমানুষের কানাঘুষা হয় এবং সন্দেহ হয় যে দুলাল তাকে হত্যা করেছে। এক পর্যায়ে বৃহস্পতিবার সকালে তার নিজ গ্রামের পাশাপাশি বড়তুলাগাঁও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মরহুম অহিদুর রহমান বাড়ির কাছে স্থানীয় লোকজন তাকে আটক করে। মানুষের জিজ্ঞাসাবাদে সে ওই নারীকে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করে এবং জনগণ থানায় খবর দিয়ে পুলিশের নিকট তাকে সোপর্দ করে। পুলিশ আরও জানায়, দুলাল একা এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত নয়, আরও হত্যাকারী রয়েছে বলে ধারণা করছে।
শিরোনাম:
সোমবার , ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ , ২৫ ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।