কচুয়া (চাঁদপুর): পানির তীব্র সংকট আর বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টিার পানিতে জলাবদ্ধতা কারণে প্রতি বছর তলিয়ে যাচ্ছিল কচুয়ার কয়েক শ’ কৃষকের ফসলি জমি। জমিতে জলাবদ্ধতা দূর করতে ও কৃষকের ফসল রক্ষার্থে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন ২ হাজার ৬০০ মিটার খাল পুন:খনন করায় বদলে গেছে ওই গ্রামের শতাধিক কৃষকের ভাগ্য। চাষের আওকায় এসেছে ৫ শত হেক্টর জমি।
জানাগেছে, কচুয়ার পালাখাল মডেল ইউনিয়নে মেঘদাইর গ্রামের দক্ষিনাংশে পানি নিষ্কাশনের প্রধান মাধ্যম সুন্দরী খাল। প্রায় দেড় কিলোমিটার দৈর্ঘের এই খালটি গত ৫০ বছর থেকে খনন না হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে অল্প বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে তলিয়ে যেতো কৃষকের সোনার ফসল।
তাই মেঘদাইর গান্ধারআন্দি থেকে মুন্সী বাড়ি পর্যন্ত ২ হাজার মিটার ও জসিম মিয়ার বাড়ি সংলগ্ন ব্রীজ পর্যন্ত ৬শ মিটার খাল খননের দাবি ছিল এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের। কৃষকদের এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তাদের ফসল রক্ষার্থে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) ২ হাজার ৬০০ মিটার খাল পুন:খনন করার উদ্যোগ নেয় এবং ইতেমধ্যে শতকরা ৬৫ খাল খনন করা হয়। এতেই বদলে যেতে শুরু করেছে ওই গ্রামের শতাধিক কৃষকের ভাগ্য। খালটি খনন করায় তারা এবার প্রচুর রবি শস্য করেছে এবং সেচের মাধ্যমে বোরো ধানের চাষ করছে। খালটি খনন করায় ১শতাধিক কৃষক খুবই আনন্দিত ও খুশি।
কৃষকরা জানান, আগে খালটি সরু ও মাটি দিয়ে অনেকটা ভরাট হয়ে যাওয়ার কারণে পানি নামতে পারত না। এখন সরাসরি পানি বড় খালের সাথে সংযুক্ত হয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে ফসলি জমিগুলোর জন্য সব মৌসুমেই সুবিধা হবে।
বিএডিসি কচুয়া উপজেলা কর্মকর্তা আবদুর রহিম জানান, কৃষিকের সুবিধার্থে আমরা খালটি খনন করে দিয়েছি। আশা করি কৃষকরা এখন থেকে সুফল পাবে।
দেশের প্রতিটি হাজামজা খাল পুন: খননের মাধ্যমে এলাকার কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করা হবে এমনটাই সকলের প্রত্যাশা।
সংবাদদাতা/চাঁদপুরনিউজ/