কচুয়া উপজেলার আশ্রাফপুর ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের অধিবাসী আরিফ হোসেন (২২)’র স্ত্রী জেসমিন আক্তার (১৮) নিখোঁজ হওয়ার ১০ দিনেও সন্ধান মিলেনি। জেসমিন আক্তারের পরিবারের দাবি স্বামী পক্ষের লোকজন তাকে গুম করে রেখেছে।
জানা গেছে, উপজেলার বিতারা ইউনিয়নের বুধুণ্ডা গ্রামের মনু মিয়ার মেয়ে জেসমিন আক্তারের সাথে ২০১২ সালের ২৯ আগস্ট একই উপজেলার রামপুর বড় বাড়ির অধিবাসী শাহ আলমের ছেলে আরিফ হোসেনের বিজ্ঞ আদালতে বিয়ে হয়।
আরিফ হোসেনের পিতা-মাতা বিষয়টি মেনে না নিয়ে দিনের পর দিন পুত্রবঁধূ জেসমিনের সাথে বিভিন্ন সময় খারাপ আচরণ করে। এক পর্যায়ে আরিফ হোসেন ও তার পিতা-মাতা তাকে মারধরসহ নির্যাতন চালায়। এ নিয়ে গত ১৫ জুলাই রামপুর গ্রামে আরিফ হোসেনের বাড়িতে স্থানীয়ভাবে সালীশ বৈঠক হয়। বৈঠকে জেসমিন আক্তারকে বিতাড়িত করবে বলে আরিফ হোসেনের পরিবার সালীশ বৈঠকে জানায়। পরে জেসমিন আক্তার ২ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি সালীশ বৈঠকে জানালে তাকে ডিভোর্স করা সম্ভব হয়নি, ফলে সালীশ বৈঠক স্থগিত হয়। এক পর্যায়ে গত শুক্রবার রাত ৮টায় গৃহবঁধূ জেসমিন আক্তার নিখোঁজ হয় বলে তার শ্বশুর শাহ আলম ও শ্বাশুরী রাফিয়া বেগম জানায়।
পরে ওই দিন রাতে দু’ঘন্টা পর তারা গৃহবঁধূ জেসমিন আক্তার নিখোঁজ রয়েছে বলে কচুয়া থানায় একটি জিডি দায়ের করে। যার নং- ৬৫৩, তাং- ১৮-০৭-২০১৪।
অপরদিকে জেসমিন আক্তারের মা হনুফা বেগম জানান, আমার মেয়ে জেসমিন আক্তারকে বিগত ২০১২ সালে আরিফ হোসেন পছন্দ করে বিয়ে করে। বিয়ের পর আমার মেয়ে জেসমিন আক্তারের উপর যৌতুকের দাবিতে বিভিন্ন সময় শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন চালানো হয়। গত ১৫ আগস্ট আমার মেয়েকে রাখবেনা বলে সালীশ বৈঠকের পর আমার মেয়েকে গুম করে রেখেছে। তবে আরিফের বাবা শাহআলম ও মা রাফিয়া বেগম পুত্র বঁধূকে নির্যাতন ও গুমের বিষয়টি অস্বীকার করে জেসমিন আক্তার বর্তমানে তার বাবা-মা’র হেফাজতে কোথাও রয়েছে বলে দাবি করে।
শিরোনাম:
সোমবার , ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ২৮ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।