প্রতিনিধি
কচুয়ায় গতকাল শনিবার অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট ৯৩টি কেন্দ্রের মধ্যে কয়েকটি কেন্দ্রে নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে ব্যালট বাক্স ছিনতাই, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া ও ভোট কেন্দ্রে হামলার ঘটনায় কচুয়ায় মোট ৪টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে।
কেন্দ্রগুলো হচ্ছে : উপজেলার পাথৈর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিলাস্থান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাঝিগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও তেগুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
উপজেলার পশ্চিম মনপুরা, প্রসন্নকাপ ১, প্রসন্নকাপ ২, তেগুরিয়া ও নন্দনপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ১৮ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করেছে। এতে বিভিন্ন প্রার্থীর ৩০ কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছে। আহতরা হচ্ছে : উপজেলার শিলাস্থান গ্রামের জাহাঙ্গীর (৪০), তেগুরিয়া গ্রামের ওমর ফারুক (৩০), মোজাম্মেল (১৯), মনপুরা গ্রামের শাহপরান (২২), শামীম (২৩), মাঝিগাছা গ্রামের হেলাল উদ্দীন (৩০), লিটন (৩১), মানিক (২৬), আনিস (২৫), মনোহরপুর গ্রামের শেখ মোহাম্মদ হানিফ (২৫), জাকির সরকার (৩৪), পনশাহী গ্রামের রিপন (২২), করিম (২৮) ও ঘাগড়া গ্রামের সাব্বির আহমেদ (২২)। আহতরা কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আহতদের মধ্যে জাহাঙ্গীর আলম, মুজাম্মেল ও ওমর ফারুকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এছাড়া দুপুরে উপজেলার কাদলা মাদ্রাসা কেন্দ্রে ভোট দেয়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয় ওয়ার্ড যুবদল নেতা সাইফুল ইসলামের মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা।
সরজমিনে ঘুরে উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্রে দেখা যায়, নির্বাচনে প্রার্থীদের এজেন্ট, বিভিন্ন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থাকলেও ভোটার উপস্থিতি ছিলো খুব কম । দিনের বিভিন্ন সময়ে বেশ ক�টি কেন্দ্রে ভোটার শূন্য অবস্থায় দেখা যায়। এছাড়া কেন্দ্রে বিভিন্ন প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পলটা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় উপজেলার পশ্চিম মনপুরা, প্রসন্নকাপ ১, প্রসন্নকাপ ২, পালগিরি, কচুয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, বিতারা মাদ্রাসা, কাদলা, সাচার, চাংগিনী ও নন্দনপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ সাময়িক বন্ধ রাখেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা । পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে পুনরায় ভোটগ্রহণ শুরু করা হয়।