কচুয়ায় জাতীয়করণকৃত ৬০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২৪০ শিক্ষক প্রায় ১ বছর ধরে সরকার ঘোষিত স্কেলে বেতন পাচ্ছেন না। ফলে তারা পরিবার পরিজন নিয়ে সীমাহীন কষ্টের মধ্যে জীবন পার করছেন।
জানা গেছে, গত বছরের ৯ জানুয়ারি শিক্ষক মহাসমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিবন্ধিত, কমিনিউটি ও পাঠদানের অনুমতিপ্রাপ্ত সব প্রাথমিক স্তরের বিদ্যালয়গুলোকে জাতীয়করণের ঘোষনা দেন। একই বছরের ২৭ অক্টোবর শিক্ষকদের জাতীয় বেতন স্কেলের প্রজ্ঞাপন ও ৩ নভেম্বর চাকুরি জাতীয়করণের গেজেট প্রকাশিত হয়। কিন্তুু প্রায় এক বছর অতিবাহিত হলেও সংশ্লিষ্ট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বেতন পাচ্ছেন না। সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪ মাস ধরে কোন বেসরকারি বেতন-ভাতাও নেই। এ অবস্থায় শিক্ষকরা চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। এছাড়া মহিলা শিক্ষিকারা মাতৃত্বে ছুটিতে থাকা প্রসূতি টাকার অভাবে চিকিৎসা ও সন্তানের দুধ ক্রয় করতে পারছেন না বলেও জানা গেছে। তারা আগে যে বেতন পেতেন তাও এখনও বন্ধ। ফলে অনেক শিক্ষক জায়গা-জমি ও শেষ সম্ভল স্বর্ণালংকার বিক্রি করে সংসার চালাতে বাধ্য হচ্ছেন। বেতন ভাতা বন্ধ হয়ে থাকা কত কষ্টের ও অমানবিক তা অন্য কেউ অনুভব করতে সক্ষম নন বলে ভূক্তভোগি শিক্ষকরা জানিয়েছেন। তাই এ ব্যাপারে জরুরি ভিত্তি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সদয় হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন ভুক্তভূগী শিক্ষকরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক জানান, সরকার আমাদের বিদ্যালয় ও আমাদের চাকুরি জাতীয় করণ করেছে। কিন্তু দীর্ঘদিন বেতন ভাতাদি না দেয়ায় সংসার চালাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে। তিনি জানান, গত কয়েক মাসে বন্ধ হওয়া বেতন প্রায় লক্ষাদিক টাকা হবে বলে জানান। এ ব্যাপারে কচুয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি তাজুল ইসলাম জানান, জাতীয় করনকৃত শিক্ষকদের বেতন ভাতাদি ইতিমধ্যে পৌঁচেছে। আগামী কিছু দিনের মধ্যে আশাকরি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে সকল শিক্ষকদের মাঝে তুলে দেয়া হবে।
শিরোনাম:
বৃহস্পতিবার , ২০ মার্চ, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ৬ চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।