খোরশেদ আলম শিকদার ঃ
চাঁদপুরের কচুয়ায় ঐতিহ্যবাহী নন্দনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান করাচ্ছেন ও জীবন গঠনের জন্য পাঠদান নিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। মাথায় আস্তর খসে পড়ে বহু শিক্ষার্থী আহত হলেও কর্তৃপক্ষ নতুন ভবনের কোন উদ্যোগ না নেয়ায় অভিভাবক ও অভিজ্ঞমহলের মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
বিদ্যালয় ঘুরে জানাযায়, ১৯৫৪ সালে বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। সে থেকে বিদ্যালয়টি শতভাগ পাশসহ এসএসসি ও জেএসসিতে জিপিএ ৫ পাওয়া ও বৃত্তিসহ ভাল ফলাফল করে আসছে। বিদ্যালয়ে বর্তমানে প্রায় ৮’শ শিক্ষার্থী এমপিও ভূক্ত ১২জন শিক্ষক সহ ২০জন শিক্ষক ও ২জন কর্মচারী রয়েছে। ৪টি ভবনের মধ্যে ২টি ভবন পরিত্যাক্ত হয়ে জায়গা দখল করে আছে। ক্লাশ কক্ষের অভাবে খোলা আকাশ ও পরিত্যাক্ত ভবনের মধ্যেই শিক্ষকরা তাদের ও শিক্ষার্থীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান করাচ্ছেন। কয়েক দফা ভূমি কম্পে বিদ্যালয়ের দ্বিতল একটি ভবনের ফ্লোর ডেবে গিয়ে দেয়াল ফেটে গেছে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মাথার ওপর ছাঁদের আস্তর খসে খসে পড়ে বহু শিক্ষাথী আহত হওয়ার ঘটনা কয়েকবার ঘটেছে। তার পরও উপায়ান্তর নেই বিধায় ঐ ভবনের নীচেই বসছে শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ডাক্তার ইসমাইল হোসেন সিরাজী বলেছেন,ঝুঁকিপূর্ন ভবনে পাঠদান না করানোই আমাদের ইচ্ছা কিন্ত কক্ষ না খাকায় ঝুকি নিয়ে পাঠদান করানো হচ্ছে। নতুন ভবনের জন্য কয়েক দফা আবেদন করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারাধন চন্দ্র ভৌমিক বলেন বিদ্যালয়ে অতি জরুরীভাবে ভবন নির্মান করা দরকার। অন্যথায় আমরা ক্লাশ রুমের অভাবে ঝুকিপূর্ন ভবনে ক্লাশ করছি জীবন বাজি রেখে । আল্লাহ না করুক এর মধ্যে বড় ধরনের কোন দূর্ঘটনা হলে সাবাই আমাদেরকেই দোষবে। কিন্ত আমারা তো চাইনা ভবনে ক্লাশ করতে তার পরও করি।
এদিকে শিক্ষার্থীরা সাংবাদিকদের দেখে অতি দুঃখ করে বলেন আমরা লেখাপড়া করব উদার মনে সেই ব্যাবস্থাটি নেই। আমরা সবসময় আতংকের মধ্যেই থেকে ক্লাশ রুমে বসে থাকি। অভিভাবকরা বলেন আমরা বাড়িতে বসে আমাদের ছেলে মেয়েদের চিন্তায় থাকি।
শিরোনাম:
সোমবার , ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ , ২৫ ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।