খোরশেদ আলম শিকদার ঃ
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষার ফরম পূরণে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। বোর্ড নির্ধারিত ফি ২৫০ টাকা হলেও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৬০০ থেকে ১০০০ টাকা আদায় করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, জেএসসি পরীক্ষায় ফরম পূরণ, কেন্দ্র ফিসহ মোট ২৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ফরম পূরণ ২১ জুলাই থেকে ২৭ জুলাই বুধবার পর্যন্ত। বিলম্ব ফি দিয়ে ৩ আগস্ট পর্যন্ত ফরম পূরণের সুযোগ থাকবে।
জানাযায় যায়, সিংআড্ডা উচ্চ বিদ্যালয়, বাইছারা উচ্চ বিদ্যালয়, ভুইয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়সহ উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জেএসসির ফরম পূরণ করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিংআড্ডা উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমি উপবৃত্তি পাই। আমার বেতন দিতে হয় না। অথচ জেএসসির ফরম পূরণ করতে ৬০০ টাকা দিতে হয়েছে।’ একই অভিযোগ ওই বিদ্যালয়ের আরও কয়েকজন শিক্ষার্থীর।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক দুলাল চন্দ্র দাস বলেছেন, আমার বিদ্যালয়ে ৬শ টাকা ফি ধার্য্য করেছি, সবাই ধার্য্যকৃত ফি দেয়না, অনেকে ২’শ টাকাও দিয়েছে।
ভূইয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমি গরিব ঘরের সন্তান। ৬০০ টাকা দিয়ে ফরম পূরণ করতে পেরেছি। অন্যদের আরও বেশি দিতে হয়েছে।’ কিন্তু অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক দুলাল চন্দ্র সরকার বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেনীতে ১৫৬জন শিক্ষাথী রয়েছে।
অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন কচুয়া উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও তেতৈয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমার বিদ্যালয়ে ফরম ফিলাপ সংক্রান্ত কোন কাজে আমি নেই। স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকরা ফরম ফিলাপের কাজে ছিলেন। তারা কত টাকা নিয়েছেন আমি জানিননা। তবে বিদ্যালয়ে ল্যাপটপের জন্য কিছু অতিরিক্ত টাকা নিয়েছে তা আমি জানি। তিনি আরো বলেন, বাতাবাড়িয়া জাফরআলী মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ে ৫’শ, সিংআড্ডা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬’শ, মনোহরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ৫’শটাকা করে নেয়ার খবর পেয়েছি। তিনি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু বিদ্যালয়ে ১হাজার টাকা করেও আদায় করেছেন বলে তিনি জানতে পেরেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক জানান, কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত ফি নিয়ে জেএসসির ফরম পূরণ করেনা। সবাই অতিরিক্ত টাকা নিয়েছে। পরীক্ষার ঠিক আগে কেন্দ্র ফির নামে প্রবেশপত্র আটকে রেখে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আরও ২০০ থেকে ৮০০ টাকা আদায় করা হবে। এ ব্যাপারে কচুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট জানতে মুঠোফোনে বারবার ফোন দিয়েও জানা যায়নি।