সোহাঈদ খান জিয়া :কচুয়ায় জেলা প্রশাসকের নিষেধ উপেক্ষা করে কথিত দাদা ভাইয়ের বিজয় মেলা চালিয়ে যাচ্ছে মেলা পরিচালনা কমিটি। গতকালও মেলায় জুয়া, লটারি ব্যবসা ও সার্কাসে নৃত্য হয়েছে। গত ৮ ও ৯ জানুয়ারি দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ ও চাঁদপুর প্রতিদিনসহ স্থানীয় পত্রিকায় কচুয়ার কথিত দাদা ভাইয়ের বিজয় মেলায় জুয়া, লটারি ব্যবসা ও সার্কাসের নামে অশস্নীল নৃত্য পরিবেশিত হওয়ার খবর প্রকাশিত হয়। যার প্রেৰিতে গত ৯ জানুয়ারি জেলা প্রশাসক মোঃ ইসমাইল হোসেন দ্রুত ওই মেলা বন্ধ করতে পুলিশ সুপার ও কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে চিঠি দেন। চিঠি পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়া আহমেদ সুমন কথিত এই মেলার কার্যক্রম ১২ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধ করতে আয়োজকদের নির্দেশ দেন। তাঁর এই নির্দেশনাকে তোয়াক্কা না করে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আয়োজক কমিটি মেলা চালিয়ে যাচ্ছে। কচুয়া থেকে একাধিক ব্যক্তি পত্রিকা অফিসে ফোন করে ৰোভ প্রকাশ করে বলেন, কথিত দাদা ভাইয়ের খুঁটির জোর কোথায় ? স্থানীয় এলাকাবাসী ও সচেতন মহল আইন অমান্য করে মেলার কার্যক্রম পরিচালনার সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে। এলাকার মুসলমানদের পৰে কচুয়া বড় মসজিদের ইমাম মাওলানা মোঃ মাহবুবুর রহমান গতকাল রোববার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন। স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, কচুয়ায় কথিত বিজয় মেলায় বিজয়ের অনুষ্ঠানের পরিবর্তে চলছে অসামাজিক, অনৈতিক ও অনৈসলামিক কার্যকলাপ। যেমন ঃ জুয়া, মদ, গাঁজা, গান-বাজনা এমনকি মেয়েদের অর্ধউলঙ্গ করে মানুষের সামনে নাচানো। তাদের এহেন কার্যকলাপে এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ ও এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। স্মারকলিপিতে আরো উল্লেখ করা হয়, যদি অবিলম্বে মেলাটি বন্ধ না করে চলতে থাকে তাহলে এলাকাবাসী ও ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের সাথে দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি হয়ে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে।
চাঁদপুর নিউজ সংবাদ