মিজান লিটন
কচুয়া উপজেলার কড়ইয়া ইউনিয়নের আকানিয়া স্কুলের পূর্ব পাশে বড় বাড়ির মৃত টুকুন আলীর মেয়ে শাহিদা বেগমের (২৮) মৃত্যুকে নিয়ে জনমনে গুঞ্জন চলছে।
ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, গতকাল বুধবার ফজরের আযানের পর শাহিদার বড় বোন রহিমা ঘুম থেকে উঠে তাদের বসতঘর সংলগ্ন উত্তর পাশে বাগানের একটি গাছে শাহিদাকে ঝুলন্ত এবং তার স্বামী সুজনকে পাশে দাঁড়ানো অবস্থায় দেখতে পেয়ে চিৎকার দেয়। চিৎকারে সুজন দৌড়ে পালিয়ে যায়। বাড়ির লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে এসে শাহিদাকে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে গাছ থেকে নামিয়ে বাড়ির উঠানে এনে স্থানীয় ডাক্তার দেখালে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। রহিমা জানান, শাহিদার ঝুলন্ত শরীরের পা মাটির সাথে লাগানো ছিলো এবং গলায় উড়না পেঁচানো অবস্থায় গাছের সাথে বাঁধা ছিলো। রহিমা আরও জানান, ৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে শাহিদা ও তার স্বামী সুজনের পারিবারিক কলহের একটি সালিস হয়। সালিসের পর আমরা সবাই ঘুমিয়ে পড়ি। প্রায় ১২/১৩ বছর পূর্বে চান্দিনা উপজেলাধীন ওরাইন গ্রামের প্রধানিয়া বাড়ির হারুনুর রশিদের পুত্র সুজনের সাথে শাহিদার বিয়ে হয়। শাহিদা বিয়ের পর শ্বশুর বাড়ির লোকজন কর্তৃক বহু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। প্রায় ৩/৪ বছর পূর্বে শাহিদা নিজ পিত্রালয় আকানিয়া গ্রামে এসে বসবাস করে আসছে। শাহিদার স্বামী প্রায় ৬ মাস পূর্বে প্রবাস থেকে চাকুরি ছেড়ে দেশে এসে শ্বশুর বাড়িতে স্ত্রীর সাথে বসবাস করে আসছিলো। শাহিদার মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে কচুয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে এবং ময়না তদন্তের জন্যে লাশ চাঁদপুর মর্গে প্রেরণ করে। পুলিশ জানায়, শাহিদার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগের ভিত্তিতে একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। যার নং-০৫, তাং-০৭/০১/২০১৫।