প্রতিনিধি
কচুয়ায় এক নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতাল ভাংচুর করেছে নবাজাতকের ক্ষুব্ধ আত্মীয়স্বজন। গতকাল রোববার সকাল ৯টায় কচুয়া বিশ্বরোড মর্ডান হসপিটাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সুমির পিতা গাজী মোবারক হোসেন বাদী হয়ে কচুয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেছে। যার নং ৬৯২, তারিখ ঃ ২২-১২-১৩।
থানায় জিডি ও নবজাতকের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের অধিবাসী প্রবাসী জাকির হোসেনের স্ত্রী সুমি আক্তারের (২২) প্রসব-ব্যাথা উঠলে গতকাল রোববার ভোর রাতে ওই হাসপাতালে নিয়ে আসে। কর্তব্যরত ডাক্তার সৈয়দ শীষ মুহাম্মদ পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তার অবস্থা বেগতিক দেখে কুমিল্লা হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেন। নবজাতকের পরিবারের অভিযোগ, ডাক্তারের কথা অমান্য করে হাসপাতালের নার্স হালিমা আক্তার স্বাভাবিক ডেলিভারী নামে তাকে সাইট সিজার করে বাচ্চা প্রসব ঘটালে মৃত বাচ্চার জন্ম হয়। এদিকে নবজাতকের মা সুমি আক্তারকে প্রথমে হাজীগঞ্জের পপুলার প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করালে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে কুমিল্লায় প্রেরণ করে। পরে খবর পেয়ে নিহত নবজাতকের আত্মীয়স্বজন উত্তেজিত হয়ে হাসপাতালের ইসিজি, আল্ট্রাসনো ও সামনের গ¬াস ভাংচুর, হাসপাতালের সহকারী ম্যানেজার শাহজালাল ও আয়া হাওয়া বেগমকে মারধর করে।
তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শ্রীরামপুর গ্রামের রাকিব, গাউস, আমির, রাশেদসহ ১০-১২ জন যুবক হাসপাতালে হামলা করে ভাংচুর ও স্টাফদের মারধর করে। এ ব্যাপারে ওই হাসপাতালের অভিযুক্ত নার্স হালিমা আক্তার মোবাইল ফোনে জানান, নবজাতকের আত্মীয়স্বজনের পরামর্শে ও অনুরোধে আমি এ ডেলিভারী করি। সে সময় নবজাতকের মাথার অংশ কিছুটা (ডেলিভারীর পূর্বে) বেরিয়ে ছিল। কচুয়া মর্ডান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে হাসপাতাল ভাংচুর করে ক্ষতি ও স্টাফদের মারধরের ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এদিকে কচুয়া মর্ডান হাসপাতালে নবজাতকের মৃত্যু ও হাসপাতাল ভাংচুরের ঘটনায় কচুয়া থানা পুলিশ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ স্থানীয় নেতারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
শিরোনাম:
সোমবার , ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ , ২৫ ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।