কচুয়া প্রতিনিধি==
কচুয়া উপজেলার আকানিয়ায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১৫টি ঘর ভস্মীভূত হয়েছে। এতে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো এখন খোলা আকাশের নিচে চরম অসহায়ের মতো দিন কাটাচ্ছে।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, গত ১৬ নভেম্বর শনিবার দিবাগত রাত ১টায় উপজেলার কড়ইয়া ইউনিয়নের আকানিয়া জমির উদ্দিন হাজী বাড়িতে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে কচুয়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছার পূর্বে একে একে ওই বাড়ির জাহাঙ্গীর আলম, মনির উদ্দিন, আবুল কালাম, হান্নান মিয়া, খোকন মিয়া, নুরুন্নবী ও ইদ্রিস মিয়ার ৯টি বসতঘর ও ৬টি রান্না ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পরে দমকল কর্মীরা প্রায় ১ ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এ ঘটনায় তিনজন আহত হয়। আহতরা হলেন : জাহাঙ্গীর (৪২), নুরুন্নবী (৩২) ও মরিয়ম (৪৫)।
ক্ষতিগ্রস্ত হান্নান মিয়া বলেন, রাতে সবাই ঘুমিয়ে ছিলাম। হঠাৎ আগুনের লেলিহান শিখা দেখে চিৎকার দিয়ে ঘর থেকে সবাই বেরিয়ে পড়ি। মুহূর্তেই আগুন পার্শ্ববর্তী ঘরগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। সেগুলোও জ্বলতে শুরু করে।
ক্ষতিগ্রসত্দ জাহাঙ্গীর ও নুরুন্নবী জানান, পুড়ে যওয়া ঘরগুলোর প্রতিটি ঘরের স্বর্ণ-গহনা, নগদ অর্থ, ধান-চালসহ ব্যবহার্য সকল আসবাবপত্র পুড়ে গেছে। আগুনে সর্বস্ব কেড়ে নেয়া এসব পরিবারের মধ্যে সবারই কম-বেশি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থায় (এনজিও) ঋণ রয়েছে। এ মুহূর্তে সরকারিভাবে সহযোগিতা না পেলে সবাইকে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করতে হবে। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেলো, আগুন ওই পরিবারগুলোর সব কিছুই কেড়ে নিয়েছে। শুধুমাত্র ভিটেমাটি ছাড়া আর কিছুই এখন তাদের নেই। তারা এখন খোলা আকাশের নিচে চরম অসহায়ের মতো দিন কাটাচ্ছে।
গতকাল রোববার সকালে কচুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী পাটওয়ারী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়া আহমেদ সুমন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন সোহাগ চৌধুরী ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ নূরুন্নবী মজুমদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তারা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সরকারি অনুদানের আশ্বাস দেন।