মোঃ কামাল হোসেন ; কচুয়া, চাঁদপুর : কচুয়ার পাথৈর গ্রামে ভূমি দস্যুরা আবার ও মাথা চড়া দিয়ে উঠেছে। মসজিদ, নুরানী মাদ্রাসা ভুমিহীন ২০ পরিবারের বাড়িঘর ভাংচুর হামলা ও লুটপাট করে আগুনে পুড়ে দিয়েছে। গতকাল দুপুরে উপজেলার পাথৈর গ্রামে হামলা ভাংচু লুটপাট ও বাড়ীঘর আগুনে পুড়ে দেয়ার এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনা ভূমিহীন পরিবারের পক্ষ থেকে পৃথক পৃথক ৮টি মামলা করা হয়েছে। একই উপজেলার পার্শ্ববর্তী বেরকোটা গ্রামের মেজবাহ উদ্দিন, এডভোকেট সিরাজ মিয়া, মামুনসহ ৩০/৩৫জন ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে প্রকাশ্যে পিস্তল উচিয়ে, রামদাসহ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে লুটপাট, অগ্নিসংযোগের এ ঘটনায় নগদ অর্থ ও মালামালসহ এক কোটি টাকা ক্ষতিপুরণ দাবী করে এবং সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার পূর্বক শাস্ত্রির দাবীতে ভুমিহীন আবুল কাশেম, আব্দুল আজিদ ভান্ডারী, ঝরনা আক্তার,বাচ্চু মিয়া,মোরশেদা বেগম,আব্দুর রশিদ, বায়েজিদ রাজিয়া, ও মসজিদ এবং মাদ্রাসা ভাংগার দায়ে এডভোকেট আব্দুল খালেকসহ ১০ জন বাদী হয়ে চাঁদপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছে।
মামলা ও স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, উপজেলার ২নং পাথৈর ইউপির ১৮নং পাথৈর মৌজার সাবেক এস এ – ৩২৭ /৩৫০ নং খতিয়ানের ৫২৪/৫২৫ নং দাগে আবুল কাশেম, আব্দুল আজিদ, সফিকসহ ২০ পরিবার কেউ সরকার কর্তৃক লীজ নিয়ে ভুমিহীন হিসেবে আবার কেউ ক্রয়সুত্রে ১৫/২০বছর ধরে বসতবাড়ি নির্মান করে বসবাস করে আসছে। গতকাল দুপুরে হঠাৎ করে বেরকোটা গ্রামের মেজবাহ উদ্দিন, এডভোকেট সিরাজ মিয়া, মামুনসহ ৩০/৩৫জন ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে প্রকাশ্যে পিস্তল, রামদাসহ দেশীয় বিভিন্ন অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে এ তান্ডব চালিয়ে ২০টি পরিবারের ওপর হামলা চালিয়ে তাদের বসতঘর, রান্নাঘর, গোয়ালঘর একটি মসজিদ ও একটি এতিম খানা ও নূরানী মাদ্রাসা ভাংচুর ও লুটপাট করে এবং কয়েকটি ঘরে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। তাদের প্রকাশ্য এ তান্ডবে শিশু,বৃদ্ধ,মহিলাসহ এলাকায় ভীতসস্ত্র হয়ে পড়েছে।