খোরশেদ আলম শিকদার,কচুয়া,=
চাঁদপুরের কচুয়ায় কুখ্যাত পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী হারাধনকে ২ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ডাদেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদলত । ৯ আগষ্ট রবিবার কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহম্মদ আশরাফ হোসেন মাদক ব্যবসায়ী হারাধনের হেফাজতে ২লিটার মাদক রাখা ও বিক্রির দায়ে ভ্রাম্যমান আদলতের মাধ্যমে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ডাদেশ প্রদান করে চাঁদপুরের জেল হাজতে প্রেরন করেন। ৮ আগষ্ট শনিবার রাতে কচুয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিলের নেতৃত্বে সাচার ফাঁড়ি পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মোঃ মোস্তফা চৌধুরী অভিযান চালিয়ে উপজেলার সাচার ইউনিয়নের চেলাকান্দা গ্রামে তার ঘর থেকে ২ লিটার দেশীয় মদসহ হাতে নাতে গ্রেফতার করে।
জানাগেছে, উপজেলার ১নং সাচার ইউপির চেলাকান্দা গ্রামের মৃত রবি দাসের ছেলে হারাধন ১৪/১৫ বছর যাবৎ সাচার বাজার ও চেলাকান্দা গ্রামে মদ, গাজা, ফেনসিডিল বিক্রি করে এলাকায় ১ম মাদক সেবন ও ব্যাসার জন্ম দেয়। এতে করে এলাকার যুব সমাজকে ধ্বংশ করে দেয়। কচুয়া থানা পুলিশ ও সাচার ফাঁড়ি ক্যাম্পের পুলিশ বিগত বছরে তাকে মদসহ হাতেনাতে আটক করে তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে চাঁদপুর জেল হাজতে প্রেরন করে। তাকে জেলখানায় পাঠানোর কিছুদিন পর সে জামিনে মুক্তি পেয়ে এলাকায় এসে আবার মাদক ব্যাবসা শুরু করে এভাবে তাকে কয়েকদফা পুলিশ আটক করে চাঁদপুর জেল হাজতে প্রেরন করে। কিন্ত তাকে মাদক ব্যাবসা থেকে সরানো যায়না, যার ফলে এলাকার উঠতি বয়সের যুবকদেরকে মাদকাসক্ত করে ক্ষতবিক্ষত করে দেয়। বিগত বছরে সাচার ফাঁড়ি পুলিশ ক্যাম্পের কিছু অসাধূ কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে তার মাদক ব্যাবসা চলত নির্ধিদায়। তাকে সাংবাদিকসহ এলাকাবাসী মাদক বিক্রির বন্ধের কথা বললে সে জবাবে বলত পুলিশ ম্যানেজ করেই আমি এ ব্যাবসা চালিয়ে আসছি। সে আরো বলেছে, আমি ছোটখাটো মদ বিক্রেতা আমাকে শুধূ আপনারা ডিষ্ট্রাব করেন যারা ইয়াবা টেবলেট বিক্রি করে তাদেরকে আপনারা চোখে দেখেননা। সে আরো বলে ইয়াবা টেবলেট বাজারে আসার পর মদ বিক্রি তেমন হয়না এ সামান্য কাষ্টমার আছে।
মাদক ব্যাবসায়ী হারাধনকে গ্রেফতার করে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ২ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ডাদেশ দেয়ায় এলাকার শান্তিপ্রিয় মানুষ কচুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার,কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ ইব্রাহীম খলিল ও সাচার ফাঁড়ি পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এস আই মোস্তফা চৌধূরীকে ধনবাদ জানিয়েছেন।