কচুয়া প্রতিনিধিঃ
শাহআলম পেশায় কড়ইয়া ইউনিয়নের স্থানীয় ২নং ওয়ার্ড মেম্বার, আবার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিৰক। কচুয়া উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামে একই ব্যক্তি সরকারের দায়িত্্বশীল দু’টি পদ দখল করে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে চাকুরি ও বেতন ভাতাদি উত্তোলন করে প্রতারণা করে আসছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
সরজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার কড়ইয়া ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের অধিবাসী ২নং ওয়ার্ড মেম্বার শাহআলম একই গ্রামে অবস্থিত ৫১নং শ্রীরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিৰক পদে অধিষ্ঠিত থেকেও মেম্বার হিসেবে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বেতন-ভাতাদি ভোগ করে আসছেন। স্থানীয়রা জানিয়েছে, শাহআলম মিয়া সরকারি নিয়ম-নীতি উপেৰা করে একই সাথে দু’টি পদ দখল করে দু’ জায়গা থেকে বেতন-ভাতাদি উত্তোলন করে আসছেন। যা প্রতারণা ও আইনের পরিপন্থী।
এদিকে একই সাথে দু’ পদ দখলকারী শাহআলম মিয়া স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, আমার বিদ্যালয়টি পূর্বে কমিউনিটি ও রেজিঃ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ছিলো। অন্যান্য বিদ্যালয় সরকারিকরণ হলেও আমার বিদ্যালয়টি এখনো সরকারিকরণ হয়নি এবং সম্প্রতি আমি ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম মালেকের নিকট ইউপি সদস্য পদ থেকে প্রত্যাহার চেয়ে লিখিত আবেদন করলে তিনি তা গ্রহণ করেননি। তবে বিদ্যালয়টি সরকারিকরণ হলে ইউপি সদস্য পদ ছেড়ে দেয়া হবে বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়া আহমেদ সুমন জানান, একই ব্যক্তি সরকারি কর্মরত দু’পদে চাকুরি করার বিধান নেই। তিনি রেজিঃ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রধান শিৰক হলে গ্যাজেট হয়ে থাকলে তিনি দু’পদের যে কোনো একটি পদ ছেড়ে দিতে হবে। এ ব্যাপারে কড়ইয়া ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম মালেক জানান, শাহআলম আমার নিকট সদস্য পদ বাতিল চেয়ে কোনো ধরনের আবেদন করেননি। অপরদিকে কচুয়া উপজেলা প্রাথমিক শিৰা অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ মে সারাদেশের ন্যায় কচুয়ার ৫৭টি রেজিঃ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে শ্রীরামপুর রেজিঃ প্রাথমিক বিদ্যালয়টিও সরকারিকরণ করা হয়েছে।
এদিকে শ্রীরামপুর গ্রামের অধিবাসী সুচতুর শাহআলম মেম্বার একই সাথে সরকারি দু’ পদ দখল করে চাকুরি করার বিষয়টি নিয়ে এলাকায় বেশ তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।