প্রতিনিধি
কচুয়ায় ইয়াছিন (২৫) নামের এক যুবককে দোকান থেকে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক বিয়ে পড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার দূর্গাপুর গ্রামের কবির হোসেনের স্ত্রী পাঞ্জু বেগম ও তার ভ্রাতুস পুত্র দিদার হোসেনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠে। এ ঘটনায় দু’পরিবার ও এলাকায় বেশ তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় ন্যায় বিচার পেতে ইয়াছিনের বড় ভাই মোঃ জসিম প্রধান বাদী হয়ে পাঞ্জু বেগম (৩৫) ও দিদার হোসেন (২২) এর বিরুদ্ধে কচুয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে কচুয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে গত ৮ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার ইয়াছিনকে তার বড় ভাই জসিম প্রধানের সাচার দক্ষিণ বাজারস্থ দোকান থেকে ফুসলিয়ে পাঞ্জু বেগম দোকানে থাকা ১লাখ ৬০ হাজার টাকাসহ নারায়ণগঞ্জে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। পরে সেখানে যুবক ইয়াছিনকে মারধর করে জোরপূর্বক পাঞ্জু বেগমের মেয়ে সুমি আক্তারের সাথে তার বিয়ে দেয়। এদিকে কনে সুমি আক্তারের মা পাঞ্জু বেগম জানান, ইয়াছিন আমাদের বাড়িতে বিভিন্ন সময় যাতায়াত করতো এবং আমার মেয়ের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে ইয়াছিন সুমির সাথে অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পরে। বিষয়টি জানা জানি হলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ইয়াছিন স্বেচ্ছায় নারায়ণগঞ্জ নোটারী কার্যালয়ে হাজির হয়ে সুমি আক্তারকে বিয়ে করে। আহত ইয়াছিন বর্তমানে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তবে ইয়াছিনের বড় দু’ ভাই জসীম ও সাহেদুল ইসলাম পবন জানান, ইয়াছিন সহজ সরল প্রকৃতির লোক। সে এ ঘটনার সাথে জড়িত নয়। তাকে ফাঁসাতে জোরপূর্বক এ কাজ করা হয়েছে।
এদিকে দূর্গাপুর গ্রামের ইয়াছিন ও সুমির আক্তারের বিয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ শুক্রবার স্থানীয় ভাবে শালীস বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানা গেছে।
শিরোনাম:
মঙ্গলবার , ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ৬ ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।