কচুয়া অফিসঃ
কচুয়া উপজেলার বহুল আলোচিত অপরাধ জগতের শীর্ষ মাদক সম্রাট নুরুজ্জামান (৫০) কে চাঁদপুর ডিবি পুলিশের এসআই ফিরোজ আহমেদ সঙ্গীয় ও ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে কচুয়া থানা পুলিশের নিকট সোপর্দ করেছে। কচুয়া থানার পুলিশ তাকে জগতপুরের গাড়ি পোড়ানো মামলার এজহার ভুক্ত আসামী হিসেবে জেল হাজতে প্রেরন করে। কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ ইবরাহীম খলিল জানান, বুধবার বিকালে ডিবি পুলিশ তার আশরাফপুর গ্রামের বাড়ি থেকে এক পিচ ইয়াবা সহ আটক করে থানায় সোপর্দ করলে ওই মামলায় চালান করা হয়। তিনি আরও জানান, নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে ৬/৭টি রাজনৈতিক মামলা থাকলেও জামিনে রয়েছে। তবে মাদকের কোন মামলা বা ওয়ারেন্ট রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মাদক সম্রাট নুরুজ্জামান গত বছরের ৯ ডিসেম্বর নিজ শ্বশুর বাড়িতে হামলা-ভাংচুর লুটতরাজ চালিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করার এক ঘটনায় স্থানীয় দু’টি ও একটি অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশে জানা যায়, সে বিগত চার দলীয় জোট সরকারের আমলে কচুয়া উপজেলা বিএনপির অঙ্গসংগঠনে জড়িত থেকে মাদক রাজ্যের সম্রাট হিসেবে পরিচিত লাভ করে। তার গ্রামের বাড়ির একতলা বিশিষ্ট ভবনের মাটির নিচে আন্ডার গ্রাউন্ডে নাকি অপরাধ জগতের অবৈধ অস্ত্র ও হিরোইন সহ বিভিন্ন মাদক স্টোক রেখে বিভিন্œ স্থানে সরবরাহ করে। তার এসব অপরাধের প্রতিবাদ করায় স্ত্রী আনোয়ারা বেগমকেও দফায় দফায় নির্যাতন করত। কচুয়া থানা সহ চাঁদপুর আদালতে তার বিরুদ্ধে প্রায় ২৯টি মামলা থাকাবস্থায় বহুবার গ্রেফতার হয়ে জেল খেটেছে বলেও সংবাদে উল্লেখ রয়েছে। বর্তমান সরকার আমলেও নুরুজ্জামান ওই অপরাধ জগতের সম্রাজ্য চালিয়ে যাওয়ায় কচুয়াবাসীকে ভাবিয়ে তোলার কথা এবং তার এসব অপকর্ম চালিয়ে যাওয়ার পিছনে পুলিশ প্রশাসনের নিরবতা ভূমিকা পালনের সংবাদেও উল্লেখ রয়েছে। বুধবার উল্লেখিত ডিবি পুলিশের অভিযানে মাত্র এক পিচ ইয়াবা সহ তাকে গ্রেফতার করে পুলিশে সোপর্দ করায় জনমনে প্রশ্ন উঠেছে। তাদের প্রশ্ন এতবড় মাদক রাজ্যে সম্রাটের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে এক পিচ ইয়াবা উদ্ধার করল? বিষয়টি আশ্চার্য বলেও তারা মন্তব্য করেছে। তবু তার গ্রেফতারে প্রশ্নবিধ মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট দাবী জানিয়েছেনে নুরুজ্জামানের অপকর্ম সঠিক উদঘাটনের মধ্যে আইনগত কঠিন শাস্তির দাবী করেছে।