কচুয়া (চাঁদপুর) সংবাদদাতা: কচুয়ায় সমলয় চাষাবাদের বোরো ধান কাটার উৎসব শুরু হয়েছে। বুধবার উপজেলার প্রসন্নকাপ গ্রামের কৃষক ওমর আলীর জমি হারভেস্টার মেশিন দিয়ে ধান কাটার উদ্বোধন করেন, উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সুলতানা খানম।
এদিকে কচুয়া উপজেলায় ৫০ একর জমিতে সমলয় বোরো ধানের চাষাবাদ করা হয়েছে। যা প্রতি একর জমিতে ৮০মন ধানের ফলন হয়েছে। হারভেস্টার মেশিন দ্বারা ধান কাটা, মাড়াই ও ঝাড়াই করা হয়।
এসময় ইউএনও দীপায়ণ দাস শুভ, কৃষি অফিসার মো. সোফায়েল হোসেন, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আলী আশরাফ, একাডেমিক সুপারভাইজার সোহেল রানা, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শিবুলাল সাহা, লিটন দত্ত ও কচুয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মানিক ভৌমিকসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, মুজিব শতবর্ষে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় কচুয়া উপজেলায় ৫০ একর জমিতে সমলয়ে বোরো ধানের নতুন জাতের হিরা-টু-হাই ব্রিড নামক উদ্ভাবনী ধানের চাষ পরীক্ষা মূলকভাবে চাষাবাদ করা হয়। চলতি ২০২০-২১ বোরো মৌসুমে সরকারি প্রণোদনায় কৃষি পুর্নবাসন প্রকল্পের’ আওতায় এ কর্মসূচিটি এবারই প্রথম শুরু করা হয়েছে। এ প্রকল্পটি প্রতি জেলায় একটি করে উপজেলা নির্বাচন করা হয়। সে মোতাবেক চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলাকে এর আওতায় আনা হয়েছে। প্রকল্পটি কচুয়ার সহদেবপুর ইউনিয়নের পশ্চিম কান্দিরপাড় নামক সমালয়ে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। গত ১৯ জানুয়ারি চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিস প্রকল্পটি উদ্বোধন করে। এ প্রকল্পে ১২০ জন কৃষক সুবিধাভোগীর একইস্থানে অবস্থিত সমলয়ে নতুন জাতের এ ধান চাষাবাদ করতে সরকারের কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ ১৪ লাখ টাকা প্রণোদনা হিসেবে বরাদ্দ দিয়েছে। এ ছাড়াও সকল প্রকার প্রযুক্তি সহায়তা দিচ্ছে জেলা কৃষি বিভাগ।
প্রকল্পের অধীন কৃষকগণ চাষাবাদ থেকে শুরু করে আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার, ট্রেতে চারা, সার-বীজ-কীটনাশক এর সুষম ব্যবহার, হারবেস্টার মেশিনে ঝাড়াই-মাড়াইসহ সব উদ্যোগ নেন কৃষি বিভাগ।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সোফায়েল হোসেন বলেন, চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক ১৯ জানুয়ারি এ নতুন উদ্ভাবনী জাতের ধান চাষের প্রকল্পটি উদ্বোধন করেন। সমলয় পদ্ধতিতে ধান চাষ করায় কৃষকরা অধিক ফলন পেয়ে মহাখুশি।
সমলয় চাষী কৃষক ওমর ফারুক জানান, সমলয়ে পদ্ধতিতে ধান চাষাবাদ করাতে অধিক ফলন পেয়েছি। একই সাথে ধান রোপন করায় একই সাথে ধান পেঁকেছে। এছাড়া এ পদ্ধিতে ধান চাষে রোগ বলাইও কম হওয়ায় অধিক ফল পেয়েছি।
এদিকে উপজেলা কৃষি অফিসের মাধ্যমে বিনা খরচে সমলয় পদ্ধতিতে ধান চাষ করে অধিক ফলন পাওয়ায় এলাকার কৃষকদের মাঝে আনন্দ উৎসব বিরাজ করতে দেখা গেছে।